কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, বিজেন্দ্র সিংহ ও রুমা পাল: এবার কি সৌগত রায় ও সুখেন্দুশেখর রায়ের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারে তৃণমূল? তৃণমূল সাংসদ সৌগত বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার জন্য লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। অন্য দিকে, সুখেন্দুশেখর রাজ্য়সভায় আসন পরিবর্তনের জন্য সরাসরি চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়কে চিঠি লিখেছেন। তৃণমূল সূত্রে দাবি, দুই সাংসদই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্বকে বিন্দুবিসর্গ না জানিয়ে, যা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। (Sukhendu Sekhar Roy)
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে শোরগোলের মধ্য়েই এবার কি শৃঙ্খলা ভাঙলেন তৃণমূলের দুই প্রবীণ সাংসদ? সৌগত ও সুখেন্দুশেখরের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিতে পারে দল? এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দমদমের সাংসদ সৌগত বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনার জন্য লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলেন। যেখানে বাংলাদেশ ইস্যুতে শুরু থেকেই দূরত্ব তৈরির চেষ্টা করছে তৃণমূল, সেখানে সৌগত লোকসভার সেক্রেটারি জেনারেলকে নোটিস দিয়েছেন। (Saugata Roy)
অন্য দিকে আবার, সাংসদ সুখেন্দুশেখর একধাপ এগিয়ে রাজ্যসভায় তাঁর আসন পরিবর্তনের জন্য চেয়ারম্য়ান ধনকড়কে চিঠি লিখেছেন বলে খবর। এতদিন তিনি বসতেন দ্বিতীয় সারিতে। এবার লাস্ট বেঞ্চে বসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। তৃণমূল সূত্রে দাবি, এই জোড়া কর্মকাণ্ডই বর্ষীয়ান দুই সাংসদ করেছেন শীর্ষ নেতৃত্বকে বিন্দুবিসর্গ না জানিয়ে। তৃণমূল সূত্রে খবর, দুই প্রবীণ নেতার এহেন আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের একাংশও মনে করছে যে সৌগত এবং সুখেন্দুশেখর যা করেছেন, তা শৃঙ্খলাভঙ্গের সামিল। কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, প্রশ্ন উঠেছে তৃণমূলের অন্দরেই।
আর জি কর কাণ্ডের পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সুখেন্দুশেখরের। ‘জাগো বাংলা’র সম্পাদক পদে তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়কে। এমনকী কমিটিতে থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। এই প্রেক্ষাপটেই, তৃণমূল সাংসদের দলকে না জানিয়ে আসল বদলানোর আর্জিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও, ঘনিষ্ঠ মহলে সুখেন্দুশেখর জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে কম হাঁটতে, কম সিঁড়ি ভাঙতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর বর্তমান আসন দরজা থেকে কিছুটা দূরে। তাই গেটের কাছে আসন চান তিনি।
তৃণমূলের একাংশ এতে বলছেন, দলকে জানালে দলই উদ্যোগ নিতে পারত তাঁর আসন পরিবর্তনের। তবে, কেন দলকে না জানিয়ে এই সিদ্ধান্ত?
এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া নিতে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি সুখেন্দুশেখর।অন্য দিকে, কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি সৌগতওয়। সূত্রের খবর, লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায় সৌগত ও অন্য তৃণমূল সাংসদদের জানিয়েছেন, দলকে জানিয়ে তবেই যেন নোটিস দেওয়া হয়।
আরও দেখুন