কলকাতা: রবিবারও আকাশ মেঘাল থাকার পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। আকাশ মেঘলা থাকার পাশাপাশি কমবে গরমও(Kolkata Weather)। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বনিম্ন ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১.২ ডিগ্রি কম। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৭৭ মিলিমিটার। এই সময়ে আকাশে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ শতাংশ। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। বঙ্গের আবহাওয়া (West Bengal Weather): সাধারণ ভাবে মনে করা হয়, অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা সফরের সেরা সময়। বছরের এই পর্বে কলকাতার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ থাকে। বিশেষ করে ডিসেম্বর-জানুয়ারি কলকাতার আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম। সকালের দিকে মিঠে রোদ, বেলা পড়লেই শীতের হালকা শিরশিরানি এই সময়ের অন্যতম চেনা ছবি। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একাধিক উৎসবের আসর বসে ‘সিটি অফ জয়’-এ। মার্চ থেকে বসন্তের আমেজ। এপ্রিল-মে প্রখর গ্রীষ্মের পর বর্ষা ঢোকে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম দিকে। তার পর অগাস্ট পর্যন্ত বৃষ্টি। সেপ্টেম্বরেও বেশ গরম থাকে মহানগর, যদিও সাময়িক ঝড়বৃষ্টি মাঝেমধ্যে তাতে রেহাই দেয়। ভৌগোলিক অবস্থান (Kolkata Geographical Situation): হুগলি নদীর পূর্ব তীর ও বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে অবস্থিত কলকাতা …
RG Kar Protest: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ অগস্ট প্রথমবার রাত দখলে নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রতিবাদের ঝাঁঝ যতটা ছিল, এখনও ঠিক তেমনটাই রয়েছে। মাঝে ৪ সেপ্টেম্বর রাতেও রিক্লেইম দ্য নাইটের আহ্বানে রাজপথে নেমেছিলেন আমজনতা। এর আগে এবং পরে হয়েছে অসংখ্য মিছিল। শুধু কলকাতা শহর নয় জেলায় জেলায় চলেছে বিক্ষোভ, মিছিল, প্রতিবাদ সভা। হাল্লা বোল – এই স্লোগানেও রাস্তায় নেমেছিলেন অনেকেই। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে পথনাটিকা। কেউ গেয়েছেন গান। কেউবা রাস্তায় এঁকেছেন গ্রাফিতি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সমস্ত সেলিব্রিটি তকমা ঝেড়ে ফেলে মিছিলের সঙ্গী হয়েছিলেন অভিনেতা, অভিনেত্রী এবং অন্যান্য সমস্ত স্তরের শিল্পীরা। সকলের কণ্ঠে ছিল স্লোগান, গর্জন। ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’- এর দাবিতে মুখর হয়েছিল আকাশ-বাতাস। আজও সেই একই ছবি দেখা গিয়েছে শহর থেকে শহরতলিতে। সিঁথির মোড়ে চলছে মিছিল। যাদবপুরেও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন আমজনতা। রাত দখলের মিছিলে হাঁটছেন হাওড়া, কোচবিহার এবং আরও অনেক জেলার সাধারণ মানুষ। দাবি একটাই, আরজি কর কাণ্ডের বিচার চাই। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই। উই ওয়ান্ট জাস্টিসের স্লোগান এখন রূপান্তরিত হয়েছে উই ডিমান্ড জাস্টিসে। কবে আসছে সুবিচার, কবে ন্যায়বিচার পাবেন নির্যাতিতার পরিবার, এত মানুষের আবেগ-ক্ষোভ-রোষ কবে সুদিন দেখাবে, এখন সেই অপেক্ষাতেই সকলে। অন্যদিকে আজ সিবিআই- এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আরজি কর- এ চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং …
কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে (RG Kar News) গ্রেফতার টালা থানার ওসি (Tala PS OC)। এবার সেই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে পোস্ট করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গ্রেফতার টালা থানার ওসি, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের এবার আর জি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষকে। সেই সঙ্গে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করল সিবিআই। তথ্য প্রমাণ লোপাট, দেরিতে এফআইআর-এর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তদন্ত শুরুর ৩১ দিনের মাথায় মূল মামলায় সিবিআইয়ের প্রথম গ্রেফতার। এই আবহে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন, ‘কয়েকটি হাসপাতাল ভর্তি না নেওয়ায়, এই টালা থানার ওসির জন্য সুর চড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতাল গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। খুনিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের বদলে তাদের বাঁচাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী’। এই আবহে ফেসবুকে পোস্ট করেন শান্তনু সেনও। লেখেন, ‘আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত এই লোকটির বিরুদ্ধে প্রথম সোচ্চার হয়েছিলাম আমি। সঠিক ছিলাম, তা ঈশ্বর আজ আরও একবার প্রমাণ করলেন।’ ‘গ্রেফতারির তালিকা দীর্ঘ হবে’, মন্তব্য সুকান্ত মজুমদারের এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘টালা থানার ওসি এবং সন্দীপ ঘোষ, এই দু’জন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা আশা করব সিবিআই এঁদেরকে সঠিক জায়গায় পৌঁছবে। কিন্তু একটা থানার ওসি বা একটা কলেজের অধ্যক্ষ নিজেদের বুদ্ধিতে এই কাজ …
<p><strong>কলকাতা :</strong> নবান্নের পুনরাবৃত্তি কালীঘাটে। শর্ত পাল্টা শর্ত নিয়ে স্নায়ুযুদ্ধ। ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী-আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। দীর্ঘ টালবাহানার পর কোনও শর্ত ছাড়াই তাঁরা আলোচনা করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। কিন্তু, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য তাঁদের বলা হয়, ‘আর আলোচনা সম্ভব নয়। হয়, আপনারা বেরিয়ে যান। নইলে আপনাদের বাস ডেকে আপনাদের বের করে দেওয়া হবে। আমাদের মোটামুটি ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হল।’ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাঁদের এমন কথা বলেন বলে অভিযোগ। এরপর বেরিয়ে এসে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্নাস্থলে ফিরে এসে ফের একবার সুর চড়ালেন আন্দোলনকারীরা। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন তোলা হয়, ‘এই সন্দীপ ঘোষ, এই টালা থানার ওসি …এঁদের সুতো কোথায় বাঁধা ?'</p> <p>তিনি বলেন, "আমরা ৩৫ দিন বিচারহীন অবস্থায় অপেক্ষা করছি। আমরা শেষ ৫দিন বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে এখানে অপেক্ষা করছি। আর ওঁরা নাকি ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে পারবেন না ! তাহলে সদিচ্ছার অভাব কার ? তাহলে আলোচনা কে চাই না ? আমরা তো আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। আমরা আবার বলেছি, আলোচনাই করতে চাই। এখন কী মনে হচ্ছে বলুন তো, একটু আগে এই যে আমাদের সহকর্মীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার ওসি গ্রেফতার হয়েছেন, এই খবরটা ওঁরা পেয়েছেন। তাই এই মিটিং করার সাহস হয়নি। আমরা যে প্রথম থেকে যে বলছি, …
‘এরপরেও কী কারো আশা থাকে ?’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য চরম হতাশ নির্যাতিতার মা Source link
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেফতার টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। শনিবার সিজিও কমপ্লেক্সে টালা থানার ওসিকে আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায় সিবিআই। প্রায় ৭ ঘন্টা জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ১২০বি, ২৩৮/১৯৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে। আরও পড়ুন, RG Kar Incident: ভিডিয়োগ্রাফির দাবি ছেড়ে দিয়েছিলাম; ওরাই রাজি হননি, কালীঘাটের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর দাবি ডাক্তারদের সিবিআই সূত্রে খবর, টালা থানার ওসি ভিন্ন ভিন্ন বয়ান দিচ্ছেন। এর আগে ৬ বার অভিজিৎ মণ্ডলকে জেরা করেছিল সিবিআই। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের পরে অপসারিত করা হয় টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, প্রমান লোপাট, এফআইআর করায় বিলম্বের অভিযোগ রয়েছে। আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই টালা থানার ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন মৃত চিকিৎসকের পরিবার। এফআইআর দায়ের হওয়া নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এই ওসির গাফিলতির অভিযোগ করেন আইনজীবীরাও। সুপ্রিম কোর্টে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। যার জেরে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল পরবর্তী শুনানিতে ওই ওসিকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে। এরপরেই গত ৫ সেপ্টেম্বর ‘বুকে ব্যথা’র কথা বলে একাধিক হাসপাতালে ভর্তি হতে যান …
RG Kar Protest: শনিবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে ভেস্তে গিয়েছে মুখমন্ত্রী এবং জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্নাস্থলে ফিরে গিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে খুন এবং ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আগেই আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এর সঙ্গেই তথ্য প্রমাণ লোপাট, দেরিতে এফআইআর দায়ের- সহ একাধিক অভিযোগে টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই প্রসঙ্গে ধর্নামঞ্চে ফেরার ফর আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেছেন, ‘সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতার হওয়ার খবরটা ওঁরা পেয়েছেন। তাই আর মিটিং করার সাহস পাননি।’ আন্দোলনরত ওই জুনিয়র ডাক্তার আরও বলেছেন যে, প্রথম থেকে তাঁরা যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের দাবি করেছেন সেটা যে সত্যি আজকের এই গ্রেফতারি তা প্রমাণ করে দিল। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন যে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে যে পাঁচ দফা দাবি জানানো হচ্ছে তাও যে যুক্তিযুক্ত সেটাও প্রমাণ করে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারি। এদিন ধর্নামঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে ‘দাবি একটাই, দালালি নয় রাজপথ, আপোস নয় সংগ্রাম’। ৩৫ দিন ধরে বিচারের আশায় পথে রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুবিচারের জন্য আগামী দিনেও যে পথে থাকতে পিছপা হবেন না তাঁরা এই স্পষ্ট বার্তাও দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এর পাশাপাশি আজ ফের স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে ধর্নামঞ্চ থেকে …
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এতদিন ছিল দুর্নীতির অভিযোগ। এবার খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। একইসঙ্গে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেন টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ইচ্ছাকৃতভাবে দেরিতে এফআইআর করার অভিযোগ উঠেছে। আরও পড়ুন-মমতার তিনবারের চেষ্টাও বিফল, ভেস্তে গেল কালীঘাটের বৈঠকও শনিবার সিবিআইয়ের তরফে শিয়ালদহ আদালতে তোলার জন্য প্রেয়ার দেওয়া হয়। তার পরেই জানা যায় সিবিআইয়ের তরফ থেকে সন্দীপ ঘোষকে আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিত্সকের খুন ও ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যান্যদের সঙ্গে মিলে ওই চিকিত্সকের মৃত্যু দেরিতে ঘোষণা করেন। এফআইআর দেরিতে রেজিস্টার করা হয় যাতে ওই ঘটনায় সাক্ষ্য প্রমাণ নষ্ট করা যায়। পরিকল্পিতভাবেই দেরি করা হয়েছে। সিবিআইয়ের আরও অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে যদি আরও কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের আড়াল করার জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকে। সিবিাইয়ের দাবি, দেরিতে এফআইআর করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। যে এফআইআর করা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও। গোটা কাণ্ডটি করা হয়েছে অসত্ উদ্দেশ্য নিয়ে। প্রসঙ্গত, এনিয়ে আরজি কর কাণ্ডে গ্রেফতারির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল তিন। সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর স্বাস্থ্যভবনে আন্দোলনকারী ডাক্তাররা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তাদের বক্তব্য আরজি করের চিকিত্সকের খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ প্রমাণ …
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফলের রস পান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। সেই কারনে নিয়মিত ফলের রস পান করেন অনেকেই। আবার, তীব্র গরমে শান্তি পেতে রাস্তার ধারে ফলের রসের দোকানে দাঁড়িয়ে গ্লাস গ্লাস জুস খেয়ে ফেলি আমরা। কিন্তু এই খবর পড়ার পর এবার থেকে জুস খেতে হয়ত ইতস্থত বোধ করবেন আপনারা। ফলের রসে মেশানো হচ্ছিল প্রস্রাব! হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন… উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে ফলের রসে প্রস্রাব মেশানোর অভিযোগে এক ফলের রস বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আরও পড়ুন, Faridabad: আন্ডারপাস পেরোতে গিয়ে ভয়ংকর বিপত্তি! বৃষ্টিজলে ডুবল গাড়ি, ভিতরে বসেই মৃত্যু দুই ব্যাংককর্মীর… উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে একটি ফলের রসের দোকান চালাতেন অভিযুক্ত আমির খান। দোকানের নাম খুশি জুস কর্নার। স্থানীয়রা বেশ কয়েকদিন ধরে লক্ষ্য করছিলেন, আমির দোকানে একটি বড় পাত্রে হলুদ রঙের একপ্রকার তরল রাখছিল। আর সেই তরলই মেশাচ্ছিল ফলের রসের মধ্যে, যা আগে সে করত না। এই বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় তার দোকানে তল্লাশি শুরু করেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। তাঁরা আবিষ্কার করেন, ফলের রসে যে হলুদ তরল মেশানো হচ্ছিল তা আসলে প্রস্রাব। তারপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। সবাই মিলে অভিযুক্তকে মারধর শুরু করেন। পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে প্রসাব ভর্তি প্লাস্টিকের ওই পাত্র উদ্ধার করে। এরপর আমির ও তার নাবালক সহকারীকে গ্রেফতার করে পুলিস। গাজিয়াবাদের পুলিসের এসিপি ভাস্কর ভার্মা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার স্থানীয় ব্যক্তিরা পুলিসকে খবর দেন। এরপরেই …
কলকাতা : “তখন হঠাৎ করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এসে বললেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আর সম্ভব নয়। আমরা দুই-তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। আমরা আর আলোচনায় বসতে রাজি নই। আমাদের ৫ দফা দাবি যাতে আদায় করতে পারি, যাতে অচলাবস্থা কাটতে পারে…যাতে গোটা রাজ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা যাতে মেটাতে পারি…তার জন্য আমরা লাইভ স্ট্রিমিং, ভিডিও রেকর্ডিং সব ত্যাগ করলাম। তারপরেও আমাদের বলা হল, আর আলোচনা সম্ভব নয়। হয়, আপনারা বেরিয়ে যান। নইলে আপনাদের বাস ডেকে আপনাদের বের করে দেওয়া হবে। তারপর নিজেরা গাড়ি করে বেরিয়ে গেলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীরা। তার মানে দাঁড়াল, আমরা বাইরে বৃষ্টিতে ভিজছি…সহযোদ্ধারা ভিজছেন…আর ওঁরা বললেন আমরা ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করছি। অথচ, আমরা ৩৫ দিন বিচারের অপেক্ষা করছি। আমরা বৃষ্টিতে ভিজে চারদিন ধরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে অপেক্ষা করছি। আমরা আমাদের সমস্ত শর্ত ছেড়ে দিলাম। তারপরে যখন আজ বলতে গেলাম…তখন আমাদের মোটামুটি ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হল। যে না আলোচনা আর সম্ভব নয়। তার মানে কি প্রথম থেকে এটাই উদ্দেশ্য ছিল।” শর্ত ছাড়ার পরেও বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ঠিক এই ভাষাতেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। কাটল না জটিলতা। নবান্নের পুনরাবৃত্তি কালীঘাটে, ভেস্তে গেল মুখ্যমন্ত্রী-আন্দোলনকারী বৈঠক। দীর্ঘ টানাপোড়ন শেষে নিজেদের দাবিদাওয়া থেকে সরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যান তাঁরা। তার আগে অবশ্য মুখ্য়মন্ত্রী দীর্ঘক্ষণ …