সমীরণ পাল, কল্যাণী: কল্যাণীর রথতলায় বিস্ফোরণস্থলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। বিজেপি বিধায়ককে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শাসক দলের। বিক্ষোভের মুখে এলাকা ছাড়লেন কল্যাণীর বিজেপি বিধায়ক। বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, “ভুলভাল কথা বলছেন বিধায়ক। মানুষ মরে গেছে, উনি রাজনীতি করতে এসেছেন।” বিধায়ক ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিধায়ককে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, পাল্টা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সরব হন বিধায়ক। তিনি বলতে থাকেন, “এরা তৃণমূলের বদমাস। ক্রিমমিনালগুলো। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তারাই এখানে আড়াল করার চেষ্টা করছে। আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন ? ক্রিমিনালগুলো। এদের লজ্জা নেই।”
এর আগে বিজেপি বিধায়ক বলেন, “প্রায় ৬ জনের জীবন চলে গেছে। ভাবতে পারেন ? চারজনের উদ্ধার করা হয়েছে। এখন বাড়ছে সংখ্যা। পুলিশের কাছে সমস্ত রিপোর্ট থাকে। তারা জানে কোথায় কী ঘটনা হচ্ছে। এ ধরনের বাজি তৈরি হয়েছে। তা জানা সত্ত্বেও পুলিশ পুরো জিনিসগুলোকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। আড়াল করতে করতেই তো এ ধরনের…।”
কী ঘটনা ?
রাজ্যে ফের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। ফের প্রাণহানি। এবার নদিয়ার কল্যাণীতে। জনবসতি এলাকায় বাজি কারখানায় মৃত্যু হল চারজনের। জখম হয়েছেন আরও একজন। শুক্রবার দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে কেঁপে ওঠে কল্যাণীর রথতলা এলাকা। একেবারে জনবহুল এলাকায় এই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে।
বিস্ফোরণের পরেই চারদিকে ধোঁয়া, পুড়ে ছাই হয়ে যায় সবকিছু। তার মধ্যে থেকেই বের করা করা হয় একের পর এক ঝলসানো মৃতদেহ। তবে কীভাবে জনবহুল এলাকায় তৈরি হল বাজি কারখানা ? সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এদিকে বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। গোটা বাজি কারখানাটিই উড়ে যায় বিস্ফোরণের তীব্রতায়। দমকল আসার আগে স্থানীয়রাই টিউবওয়েল থেকে বালতি বালতি জল এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
স্থানীয় এক মহিলা বলেন, “সারা পাড়াতেই বাজি হয়। ভয় তো লাগেই। কী করব ? আমরা সাধারণ লোক।” অপর এক মহিলা বলেন, “এখানে অনেক কারখানা আছে। এখানে আছে, গঙ্গার ধারে আছে…প্রচুর কারখানা আছে এখানে। যে কোনও সময় বিপদ ঘটতে পারে। কে দেখবে ? কে বলবে ?”
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours