কলকাতা: ‘দাঙ্গা লাগিয়ে ওষুধের দাম, পেট্রোলের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে বিজেপি। অন্য রাজ্যের ছবি বাংলার ছবি বলে চালাচ্ছে , ছড়াচ্ছে বিজেপি’ ইমামদের সঙ্গে বৈঠকে প্রথম থেকে কেন্দ্রকে নানা ইস্যুতে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাঁর আক্রমণের নিশানা থেকে বাদ গেল না বিজেপি, কংগ্রেস থেকে বিএসএফ , কেউই। টেনে আনলেন চন্দ্রবাবু নাইডু ও নীতীশ কুমারদের নামও ! বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ‘আমরা সর্বধর্মসমন্বয়ে বিশ্বাস করি। শ্রীরামকৃষ্ণকে বিশ্বাস করি , বিবেকানন্দকে বিশ্বাস করি, রবীন্দ্র নজরুলকে বিশ্বাস করি, বাংলা স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্ম দিয়েছে, বাংলা নবজাগরনের জন্ম দিয়েছে, বাংলার মাটিতে বিজেপির কথায় উত্তেজিত হয়ে… কেউ অশান্তি করতে গেলে তাকে কন্ট্রোল করুন…যদি একটুও বিশ্বাস করেন…যদি একটুও ভরসা থাকে। ‘
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বললেন, মুখ্যমন্ত্রী বললেন’আমাদের সংবিধানের ২৬ ধারায় সবার নিজের নিজের ধর্মপালনের অধিকার রয়েছে। এবং সেই উদ্দেশ্যে সম্মতি অর্জন ও রক্ষণাবেক্ষণ করার অধিকার আছে। আপনি আমার এক্তিয়ার কেড়ে নিচ্ছেন। আপনি রাম রহিম সবারই অধিকার কাড়ছেন ‘ কেন্দ্রকে আক্রমণ মমতার। সেই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রের উদ্দেশ্য নিয়েও। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ইউনূসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর গোপন বৈঠক করতেই পারেন। দেশের ভাল হলে ভাল। কিন্তু আপনাদের উদ্দেশ্যটা কী? অন্যদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে দাঙ্গা করা?প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুললেন, আপনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানেন না? এই অশান্তির পিছনে সরাসরি কেন্দ্রকেই দুষলেন তিনি। ‘অশান্তিতে বাংলাদেশের হাত থাকলে, তার জন্য কে দায়ী? এর জন্য পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। বর্ডার সামলানো দায়িত্ব বিএসএফের। রাজ্যের হাত নেই এতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গতকাল আমি এএনআই-এর একটি টুইট দেখেছি যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে যে বাংলাদেশের সাথে জড়িত। যদি এটি সত্যি হয়, তাহলে এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। সীমান্তের দেখাশোনা করে বিএসএফ, রাজ্য সরকার নয়। কেন বিজেপির লোকদের বাইরে থেকে এসে গোলমাল করতে এবং পালিয়ে যেতে দেওয়া হল?’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু খোঁজ নেব, বর্ডার এরিয়ায় বিএসএফ কাকে কাকে হাত করেছে। কিছু বাচ্চা ছেলেকে ৫-৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ইট ছুড়িয়েছে।’
মমতার বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের নিশানায় ছিল কংগ্রেসও। দাবি করলেন, ‘ প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। যেখানে গণ্ডগোল হয়েছে, সেটা মুর্শিদাবাদ আসন নয়, মালদহের আসন। কংগ্রেসের জেতা আসন। জেতার সময় জিতবে। দাঙ্গা হলে রাস্তায় বেরবে না’ । সেই সঙ্গে তৃণমূলের ওপর আশা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘ তৃণমূল কংগ্রেস যদি অশান্তি করত, তাহলে তৃণমূলের তিন বিধায়কের বাড়ি আক্রান্ত হত না। পার্টি অফিসও ভাঙা হত না।’
আরও দেখুন