জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সুদানের দারফুর অঞ্চলে আবারও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ঘটল! রাষ্ট্রসংঘের মতে, আধাসামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের সর্বশেষ হামলায় অন্তত ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন!
গত সপ্তাহে দারফুরের এল-ফাশের শহরের আশপাশের শরণার্থী শিবিরগুলির উপর ভয়াবহ স্থল ও বিমান হামলা চালায় আরএসএফ। মূল লক্ষ্য ছিল এল-ফাশের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। এটি দারফুর অঞ্চলে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা শেষ বড় শহর। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর মধ্যে এক দুঃসহ গৃহযুদ্ধ চলছে। যার ফলে ইতিমধ্যে কোটি কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। দেশটিতে সাম্প্রতিক বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম মানবিক সংকটের আবহ।
রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪৮ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা গেলেও, মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাটি ৪০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে! তিনি বলেন, আমাদের তরফে তথ্য অনুসন্ধান-প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ওই নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯ জন ছিলেন ত্রাণকর্মী। যাঁদের কাজ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
আরও পড়ুন: Shani Shadashtak Yog: শনি-মঙ্গলের অতি বিরল যোগে তৈরি ‘ষড়ষ্টক রাজযোগে’ সৌভাগ্যের চূড়ায় এই রাশির জাতকেরা, টাকার বন্যা বইবে…
আরও পড়ুন: Great Himalayan Earthquake: সুতোর উপর ঝুলছে জীবন! ‘গ্রেট হিমালয়ান আর্থকোয়েকে’ রাতারাতি ধুলোয় ভারত, কোটি কোটি মৃত্যু…
এল-ফাশের আশেপাশে অবস্থিত জামজাম ও আবু শৌক শরণার্থী শিবিরে ৭ লাখেরও বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই দুর্ভিক্ষের প্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শনিবার আরএসএফ দাবি করে, তারা বেসামরিক জনগণের ওপর হামলা চালায়নি এবং শিবিরে সহিংসতার দৃশ্যগুলো সাজানো। কিন্তু পরদিন তারা নিজেরাই দাবি করে যে, “জামজাম শিবির সফলভাবে মুক্ত করা হয়েছে” এবং অভিযোগ করে সেনাবাহিনী এই শিবিরকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এই বিবৃতিগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন উঠছে— কারা প্রকৃতপক্ষে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে?
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)