কলকাতা: উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলেও, কলকাতা-সহ পাশ্ববর্তী এলাকায় সেই হারে কোনও প্রবল বর্ষণের সতর্কবার্তা নেই। তবে আগামীকাল হাওয়া অফিসের হলুদ সতর্কবার্তার আওতায় এসেছে নতুন করে দক্ষিণবঙ্গের ৪ টি জেলা। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের দুটি জেলাতেও থাকছে এই হলুদ সতর্কবার্তা। আগামীকাল কেমন থাকবে আবহাওয়া দুই বঙ্গে ? জানাল হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের তরফে গতকালই জানানো হয়েছিল দুর্যোগের সতর্কবার্তা সুন্দরবনে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে শুধুই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়ে চলেছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামীকাল হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং পূর্ব বর্ধমানে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের এই চার জেলায় আগামীকাল হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে ২৪ তারিখ সেই আশঙ্কা অনেকটাই কমে আসছে। শুধু হলুদ সতর্কতা থাকছে পূর্ব মেদিনীপুরে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামীকাল কালিম্পং এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। এদিকে কটালের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় জলোচ্ছ্বাসেরও আশঙ্কাও নতুন করে মাথা চাড়া দেয়। সতর্কবার্তা জানিয়ে মাইকিংও করে পুলিশ। সাগর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার তরফে ফেরিঘাট ও জনবহুল এলাকায় চলে প্রচার। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়। বেহাল নদী ও সমুদ্রবাঁধের কাছাকাছি বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় চলে যেতে বলা হয়। অন্যদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত কলকাতায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সেই পূর্বাভাস আগামীকালের জন্যও বহাল থাকছে।
আরও পড়ুন, শক্তিগড়ের ল্যাংচার গুণগত মান নিয়ে উঠে গেল প্রশ্ন, ল্যাংচায় ছত্রাকের অভিযোগ অস্বীকার ব্যবসায়ীদের
এদিকে, খারাপ আবহাওয়ার মাঝেই গঙ্গাসাগরে ভয়াবহ ভয়াবহ ভাঙনের মুখে কপিল মুনির আশ্রম। ১-৫ নম্বর স্নানঘাটে যাওয়ার রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্র-পাড়ের অসংখ্য অস্থায়ী দোকান। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে মাইকে প্রচার চলছে। এর মধ্যেই দুর্যোগের ভ্রুকুটি অগ্রাহ্য করে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে গিয়েছে ৩টি ট্রলার। নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে কীভাবে গেলেন মৎস্যজীবীরা? উঠছে প্রশ্ন।
আরও দেখুন