উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : আইপ্যাকের নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ। এনিয়ে শনিবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘পদ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার নাম করে টাকা তোলা হচ্ছে। আমার বা আইপ্যাকের নাম করে কোথাও টাকা তোলা যাবে না। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সন্দেহ হলেই ভেরিফাই করবেন।’ ফোন নম্বর দিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে নেতাদের এমনই বার্তা দিলেন অভিষেক। খবর সূত্রের । সূত্রের আরও খবর, তিনি বলেন, ‘কেউ আমার অফিস থেকে এসেছি বললে, জানানো হবে জেলা সভাপতিকে। আগে থেকে জানিয়ে তাঁরা যাবেন, না হলে কথা বলবেন না।’ টাকা তোলার অভিযোগে এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিস্তারিত…
কয়েক বছর ধরেই তৃণমূল শিবিরে বার্তা আছে, আইপ্যাক ইক্যুয়াল টু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ, আইপ্যাকের কোনও বড়, মাঝারি বা ছোট কর্তা জেলায় গিয়ে মন্তব্য করলে, সবাই ধরেই নেন সেটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আসছে। আইপ্যাকও সেইভাবেই নিজেদের বারবার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছে। জেলার বিভিন্ন স্তর থেকে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় তাঁর পরিষদীয় দলের বৈঠকে, আইপ্যাক নিয়ে কার্যত কটাক্ষ করেছেন। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর কথাই দলের শেষ কথা। ফলে, আজ সকলের নজর ছিল এটা দেখার জন্য যে, বিধানসভা ভোটের আগে আইপ্যাককে সক্রিয় করা হবে নাকি নিষ্ক্রিয় করা হবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আইপ্যাককে ফের সক্রিয় হওয়ার কথা বললেন। কিন্তু, একইসঙ্গে তিনি বুঝিয়ে দিলেন আইপ্যাকের নেতৃত্ব কিন্তু এবার জেলা নেতৃত্বের হাতে থাকবে।
মদন-কথা
গত মাসেই খোদ মদন মিত্র আক্রমণ করেন IPAC-কে। তিনি বলেছিলেন, “আমাদের পার্টিতে এসব কিছু ছিল না। টাকা-পয়সা, লেনদেন। এই একটা এজেন্সি আমাদের পার্টিতে ঢুকল। অনেকগুলো এজেন্সি। ভোটকুশলী সংস্থা তারা নাকি জিতিয়ে দেবে। কামারহাটিতে আমাকে শেখানো হচ্ছে, সকালে উঠে কীভাবে ব্রাশ করবে। তারপর ডানদিকে তাকাবে, না বাঁদিকে তাকাবে। এরা শুরু করল। বিভিন্ন জায়গা থেকে নাম সংগ্রহ করে। এরাই গোটাটা করেছে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অজান্তে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ-নামীদামি ছেলের কাছেও আমি শুনেছি, কেউ ২৫ লাখ, কেউ ৫০ লাখ দিয়েছেন। এই এজেন্সির ছেলেদের দিয়েছে। আইপ্যাকই হবে…আইপ্যাকই ছিল। তাঁরা কেউ নমিনেশন পাননি। লজ্জায় কাউকে বলতেও পারছেন না। এত বড় বড় নাম তাঁদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্টে বলেছেন, যে টাকা দিচ্ছেন, যে কাটমানি নিচ্ছেন, যে কেনার চেষ্টা করছেন, তৃণমূলের শিরদাঁড়া বিক্রি হয় না। তৃণমূল টাকার কাছে বিক্রি হয় না। এ তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা।”
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours