জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ‘রোজ কত কী ঘটে যাহা-তাহা’! শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই আপনারও চোখ কপালে উঠেছে। এটাই স্বাভাবিক। গোল, স্কিল এবং টেকনিকের বাইরেও ফুটবলে অলিখিত কিছু থাকে। যেমন প্রকৃতির ডাক। পেরুর এক ফুটবলার সেই ডাককে উপেক্ষা করতে না পেরে, খেলতে খেলতে মাঠেই মূত্র বিসর্জন করলেন! 

গত রবিবার পেরুর তৃতীয় ডিভিশনের টুর্নামেন্ট কোপা পেরুতে মুখোমুখি হয়েছিল অ্যাটলেটিকো আওয়াজুন ও ক্য়ান্টরসিলো এফসি। ৭১ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল গোলশূন্য়। অ্যাটলেটিকো আওয়াজুন কর্নার পেয়েছিল। তবে একই সঙ্গে চোটও পেয়েছিলেন ক্য়ান্টরসিলোর গোলকিপার লুচো রুইস। চোটের কারণে তিনি মাঠে শুয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে দেখতে ছুটে আসেন রেফারি। 

আরও পড়ুন: Lakshya Sen-Deepika Padukone: অলিম্পিক্সে ‘লক্ষ্য’চ্যুত সেনের দীপিকা ‘অন টার্গেট’! রাতের মুম্বইয়ে নায়িকাকে নিয়ে…

খেলা শুরু হতে কিছুটা দেরি হবে, এমনটা বুঝেই মাঠের সাইডে চলে যান অ্যাটলেটিকো আওয়াজুনের স্য়ান্টিয়াগো মুনোজ। সেখানে গিয়ে মূত্র বিসর্জন করেন। রেফারি এরপর আহত গোলকিপারকে ফেলে ধাওয়া করেন  মুনোজকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে লাল কার্ড দেখান। মুনোজ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার পরেই মাঠ ছাড়েন। কারণ তাঁর কাছে আর কোনও রাস্তাই ছিল না।

এই প্রথম কিন্তু মাঠে কোনও ফুটবলার এমন ঘটনা ঘটালেন না। একবার আর্সেনালের গোলকিপার জেনস লেহম্য়ানও এরকম কাণ্ড ঘটিয়ে ছিলেন। তিনি অ্যাডভার্টাইজিং হোর্ডিং টপকে প্রস্রাব করে খের খেলায় ফিরে এসেছিলেন। যদিও তাঁকে রেফারি ধরতে পারেননি। ফলে সেই যাত্রায় তিনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
 
এইরকম ঘটনার কথা বললে সবার আগে মাথায় আসে কিংবদন্তি ইংরেজ ফুটবলার গ্য়ারি লিনেকারের কথা। ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপের খেলা চলছিল। ইংল্য়ান্ড গ্রুপ পর্যায়ের খেলার আয়ারল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে নেমেছিল। তিনি একাধিকবার খেলার মাঝে মাঠে মলত্য়াগ করেছিলেন। তবে তাঁকেও ধরতে পারেননি রেফারি।

আরও পড়ুন:’শুধু একবার অলিম্পিক্সে আসতে দিন, এক ইভেন্ট থেকেই পদকের সংখ্যা হবে কম করে ৪ থেকে ৫’

 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *