কলকাতা: চাকরি ফেরানোর দাবিতে রাতভর সল্টলেকে SSC ভবনের কাছে শিক্ষকদের অবস্থান। সম্মানজনক সমাধান না মেলা পর্যন্ত খোলা আকাশের নীচে ধর্না চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে, SSC ভবনের দেওয়ালে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারার একটি নোটিস সেঁটে দিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেট। নোটিসের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারি, নোটিসে লেখা, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত SSC ভবনের সামনে জমায়েত ও মাইক বাজানো নিষেধ। (SSC Scam)
বুধবার সকাল থেকে কলকাতা -সহ জেলা থেকে দফায় দফায় চাকরিহারাদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এর পর বুধবার রাত ১০টা নাগাদ আচার্য সদনের ফটকের সামনে, বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারার একটি নোটিস আটকানো থাকতে দেখা যায়। আচার্য সদনের আশেপাশে এবং পাশের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কোনও রকম জমায়েত করা যাবে না। এর পাঁচ থেকে ছ’টি বিল্ডিংয়ের ব্যবধানেই রাতভর অবস্থান করেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীরা। (Kolkata News)
ওই নোটিস দেখেই কিছুটা দূরে রাতভর অবস্থান করেন চাকরিহারারা। কেউ কেউ রাস্তার ধারে ফুটপাতে বসে থাকেন সারারাত, কেউ আবার ঠায় বসে থাকার পর কিছু ক্ষণের জন্য শুয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে থেকে একজন বলেন, “আমরা দুশ্চিন্তার মধ্যেই আছি। আমাদের পরিবারও দুশ্চিন্তায়। আমাদের এভাবে পথে বসিয়েছে রাজ্য সরকার।” আর একজন বলেন, “সব হারিয়ে ফেলেছি।” চাকরিহারারা জানিয়েছেন, যত ক্ষণ পর্যন্ত আশার আলো না দেখতে পাচ্ছেন, তত ক্ষণ এই অবস্থান চলবে।
বৃহস্পতিবার মহামিছিল রয়েছে চাকরিহারাদের। শিয়ালদা থেকে মিছিল শুরু হবে। দুপুর ১২টার আগে থেকে জমায়েত শুরু হবে সেই উদ্দেশে। নাগরিক সমাজকেও মিছিলে আহ্বান জানিয়েছেন চাকরিহারারা। কিন্তু তাতে কি সমাধান হবে সমস্যার? এক চাকরিহারা বলেন, “গতকাল SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি বলেছেন, মিরর ইমেজ আছে। যোগ্যদের পৃথক, নির্ভুল তালিকা প্রকাশ সম্ভব। কবে প্রকাশ করবেন, কবে সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে আবেদন জানাবেন, জানতে চাই। সেই উত্তর পাইনি। আমরা তাই SSC ভবনের সামনে আন্দোলনের বীজ বপন করেছি।”
ওই চাকরিহারা শিক্ষক বলেন, “আসল রোগ SSC-র অফিসে। তাই এেখানেই আন্দোলনের বীজ বপন করেছি। আপনারা প্রত্যেকে ভেদাভেদ ভুলে আসুন।” চাইলে SSC-ই মিরর ইমেজ প্রকাশ করতে পারে। তাই SSC-র দফতরের সামনেই ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চাকরিহারারা।
আরও দেখুন