NOW READING:
‘বাচ্চাকে কী খেতে দেব ?’ কেউ বলছেন, ‘বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, ওষুধ কিনে দিতে হয়’
April 3, 2025

‘বাচ্চাকে কী খেতে দেব ?’ কেউ বলছেন, ‘বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, ওষুধ কিনে দিতে হয়’

‘বাচ্চাকে কী খেতে দেব ?’ কেউ বলছেন, ‘বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, ওষুধ কিনে দিতে হয়’
Listen to this article



<p><strong>কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সুদীপ চক্রবর্তী ও গৌতম মণ্ডল, কলকাতা :</strong> বাড়িতে ছোট্ট বাচ্চা, বয়স্ক মা-বাবা, কারও পড়াশোনা, তো কারও চিকিৎসার খরচ। আচমকা চাকরি হারিয়ে এই মানুষগুলোর মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে! কীভাবে শোধ করবেন EMI? কীভাবে সামলাবেন ঋণের বোঝা? বুঝেই উঠতে পারছেন না তাঁরা। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য় রাজ্য় সরকারকেই দায়ী করছেন অসহায় চাকরিহারারা।</p>
<p>কারও বাড়িতে রয়েছে ছোট্ট সন্তান ! কারও বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা ! কারও ঘাড়ে লোনের EMI-এর বোঝা ! এই পরিস্থিতিতে রাতারাতি চলে গেল একমাত্র সম্বল চাকরিটা !</p>
<p>স্বামী-স্ত্রী দীপঙ্কর আদক এবং শিপ্রা বিশ্বাস। একই স্কুলে চাকরি করতেন। বাড়িতে রয়েছে এক সন্তান। বৃহস্পতিবার দুর্নীতির কারণে গোটা প্য়ানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায় চাকরি গেছে দু’জনেরই। বাড়িতে ছোট্ট সন্তান রয়েছে। রাতারাতি মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে দম্পতির।</p>
<p>দীপঙ্কর আদক বলেন, সবচেয়ে বেশি চিন্তিত ছেলের জন্য়। ছেলেটার কী হবে! যতদিন না নিয়োগ হবে, আমি খাব কী?" অন্যদিকে, শিপ্রা বিশ্বাস বলেন, "কী করব জানি না। বাবা মা রয়েছে, তাদের ওষুধ পত্র কেনা, সবই আমাদের ওপর নির্ভরশীল। এখন কী করব জানি না।"</p>
<p>বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলে ক্লাস নিতে নিতে কয়েকজন জানতে পারেন, তাঁদের চাকরি আর নেই ! এক চাকরিহারা বলেন, "মাথায় বাজ পড়ার মতো অবস্থা। কাল থেকে কী করব! পরিবার নিয়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা। ঋণ কীভাবে শোধ করব ! পরিবারকে কীভাবে রাখব ?"</p>
<p>কে ভেবেছিল এই পরিণতি হবে ! কেউ ঘর বেঁধেছেন, কেউ আবার চাকরি পেয়ে নিয়েছিলেন গৃহঋণ। কোথা থেকে EMI দেবেন, ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছেন না। চাকরিহারা প্রতাপ রায়চৌধুরী বলেন, "আমার ৩ বছরের বাড়িতে বাচ্চা আছে। আমার বাচ্চাকে কী খেতে দেব জানি না। সর্বনাশ হয়ে যাবে আমাদের। মাথার ছাদ চলে যাবে। আমাদের বাচ্চা নিয়ে পথে নামতে হবে।"</p>
<p>ইউনিভার্সিটির টপার। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। চাকরি পেয়েছিলেন উত্তর দিনাজপুরের স্কুলে। পুরো প্য়ানেল বাতিল হওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন সেই কৃষ্ণমৃত্তিকা নাও। তিনি বলেন, "আজকের দিনের পর আমি জানি না আমার কী হবে। আমি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। আমি রাজ্য়পালের হাত থেকে গোল্ড মেডেল নিয়েছি। তারপরেও যদি আমায় প্রমাণ করতে হয় আমি যোগ্য় না অযোগ্য়, আমার কিছু বলার নেই।"</p>
<p>এমন অনেকের চাকরি গেছে, যাঁরা বাড়িতে একমাত্র রোজগেরে। তাঁদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে ! অপর এক চাকরিহারা বলছেন, "আমাদের বাড়িতে বৃদ্ধ মা-বাবা, শিশু, প্রত্য়েককে আজকে ওষুধ কিনে দিতে হয়। তাহলে আজকে আমরা কোথায় যাব?"&nbsp;</p>
<p>একদলের দুর্নীতির খেসারত চোখের জল দিয়ে দিতে হচ্ছে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে।</p>



Source link