কলকাতা: নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির জন্য, স্কুলের চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। যার মধ্যে অযোগ্যদের পাশাপাশি রয়েছেন বহু যোগ্য প্রার্থী। এই আবহে সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকেও এসএসসি-এর রায় নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায় উঠে এসেছে দেশের প্রধান বিচারপতিদের প্রসঙ্গ।
চাকরি বাতিলের রায়ের নেপথ্যে কোনও খেলা নেই তো? শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চক্রান্তের অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একজন প্রধান বিচারপতির রায়, আরেকজন প্রধান বিচারপতি কীভাবে বদলে গেল তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, বিচারব্যবস্থাকে অপমানের অভিযোগ তুলে, দেশের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
চিঠিতে তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর করার পরিবর্তে, সিনিয়র IAS অফিসারদের উপস্থিতিতে, বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রায়কে স্বাগত জানানোর বদলে বিচারবিভাগকেই আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানাতেই শিক্ষায় বেলাগাম দুর্নীতি। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, মুখ্যমন্ত্রীর ২টি সভার উদাহরণ টেনেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলার মানুষ বিচার চায়, এমনটাই লিখেছেন জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।
এদিকে এদিন নেতাজি ইন্ডোরে চাকরিহারাদের সভা থেকে ফের একবার, সদ্য অবসর প্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার প্রসঙ্গ টেনে রায় প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন অ্যাপিল করেছিলাম হাইকোর্টের রায়টাকে স্টে করে দেওয়ার জন্য, তদানীন্তন চন্দ্রচূড়জি সেটাকে স্টে করে দেন। হাইকোর্ট থেকে যে ভবিষ্যতটা অনিশ্চিত হয়েছিল, সেই ভবিষ্যতটা তিনি নিশ্চিন্ত করে দেন। তারপর আবার দেখলাম আরেকজন বিচারপতি এলেন। একজন প্রধান বিচারপতির রায়কে আরেকজন প্রধান বিচারপতি সম্পূর্ণভাবে যোগ্য অযোগ্য না দেখে বাতিল করে দিলেন। প্রথমে সিঙ্গল বেঞ্চে, প্রথমে অভিজিৎ বাবুর বেঞ্চে, সিঙ্গল বেঞ্চে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাতিল করে দেওয়া হয় লিস্ট। আপনাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে কোনটা মুখ, আর কোনটা মুখোশ’।
সবমিলিয়ে চাকরি বাতিল মামলায় বিচারব্যবস্থার সমালোচনা ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
আরও দেখুন