জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতীকের (Prateik Babbar) জন্মের ১৪দিনের মাথায় প্রয়াত হয়েছিলেন স্মিতা পাটিল (Smita Patil)। প্রতীককে ছেড়ে সেই সময় প্রথম স্ত্রীর কাছেই ফিরে গিয়েছিলেন বাবা রাজ বব্বর (Raj Babbar)। প্রতীককে বড় করেছেন তাঁর দাদু দিদা। বাবার সাহচর্য কখনও পাননি প্রতীক। তবে একসঙ্গে তাঁদের বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে। তবে কোনও এক কারণে তিক্ততা এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে বাবাকে বিয়েতে আমন্ত্রণই করেননি প্রতীক। এবার অভিনেতা বাবার সঙ্গে ছিন্ন করলেন শেষ যোগও। মুছে দিলেন বাবার পদবি।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News
গত ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে করেছেন রাজ বব্বর ও স্মিতা পাটিলের ছেলে প্রতীক বব্বর। বাঙালি অভিনেত্রী প্রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। মা স্মিতা পাটিলের বাড়িতে কাছের মানুষদের উপস্থিতিতে বিয়ে করেন তাঁরা। কিন্তু সেই বিয়েতে আমন্ত্রণ করেননি বাবা রাজ বব্বরকে। প্রতীকের সত্ ভাই আর্য বব্বর জানান যে বিয়েতে বাবা রাজ বব্বরকে নিমন্ত্রণই করেননি প্রতীক।
আরও পড়ুন- Amaan Ali Bangash: ‘বাবার মতো পেরেছি কিনা জানি না!’, ‘নাদ’ ফেস্টিভ্যালে আমান আলিতে মুগ্ধ কলকাতা…
প্রতীকের সঙ্গে রাজ বব্বরের সম্পর্ক কোনওদিনই বিশেষ ভাল নয়, একথা সকলেরই জানা। কখনই বাবার রেফারেন্স ব্যবহার করেননি তিনি। প্রতীকের জন্মের ১৪দিনের মাথায় প্রয়াত হয়েছিলেন স্মিতা পাটিল। প্রতীককে ছেড়ে সেই সময় প্রথম স্ত্রীর কাছেই ফিরে গিয়েছিলেন। বাবার সাহচর্য কখনও পাননি প্রতীক। তবে দেখা সাক্ষাত্ ছিল তাঁদের। এরই মাঝে কোনও এক কারণে তিক্ততা এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে বাবাকে বিয়েতে আমন্ত্রণই করেননি প্রতীক। তার ঠিক এক মাস পর এবার ছাড়লেন বাবার পদবিও। এবার থেকে তাঁর অফিসিয়াল নাম ‘প্রতীক স্মিতা পাটিল’।
আরও পড়ুন- Disha Salian Death Case: ‘গণধর্ষণ করে খুন করা হয় দিশাকে!’, বাবার আর্জিতে ৫ বছর পর হাইকোর্টে খুলছে কেস-ফাইল…
কী হয়েছে বাবা ছেলের মধ্যে? এই প্রশ্নের মুখে প্রতীকের স্ত্রী প্রিয়া বলেন, প্রতীক যখন এই কথাগুলো বলার জন্য ইমোশনালি ও মানসিকভাবে তৈরি হবেন, তখন তিনি নিজেই এই বিষয়ে কথা বলবেন। পরিস্থিতি এখন জটিল। প্রতীক এই বিষয়ে বলেন, আমি এসবের কিছুই ভাবছি না। আমি শুধু ভাবছি কী আমার জন্য ভালো হবে, আর কী আমার মন ভালো রাখবে, ভাবছি না যে এটা আমার কেরিয়ারের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা। এর পরিণতি কী হবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। আমি কেবল ভাবছি যে নামটি শুনলে আমার কেমন অনুভূতি হয়। আমার মা (স্মিতা পাতিল), তাঁর নাম এবং তাঁর উত্তরাধিকারের সঙ্গে আমার সম্পূর্ণ এবং সম্পূর্ণভাবে যুক্ত থাকা উচিত। আমি মনে করি না অন্য কোনও নাম সেই উত্তরাধিকারকে কলঙ্কিত করতে পারে। আমি এটাই হতে চাই। আমি আমার বাবার মতো নয়, আমার মায়ের মতো হতে চাই। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের মতো মনে হচ্ছে’।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)