NOW READING:
অর্পিতার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতেন পার্থ, উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটিও তাঁরই, আদালতে জানাল ED
December 26, 2024

অর্পিতার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতেন পার্থ, উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটিও তাঁরই, আদালতে জানাল ED

অর্পিতার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহার করতেন পার্থ, উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটিও তাঁরই, আদালতে জানাল ED
Listen to this article


কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার মারাত্মক অভিযোগ তুলল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাদের দাবি, অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া ৫০ কোটি টাকা পার্থরই। অর্পিতার নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে তিনিই ব্যবহার করতেন। একাধিক ভুয়ো সংস্থার খুলেও লেনদেন চালিয়ে গিয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদে অর্পিতা তাঁদের কাছে একথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। (Partha Chatterjee)

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেই মতো আদালেত প্রত্যেকে হাজির রয়েছেন কি না দেখে নেন বিচারক শুভেন্দু সাহা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ পড়ে শোনাতে বলা হয় ED-র আইনজীবী। মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যাতে নাম রয়েছে, পার্থ, মানিক ভট্টাচার্য, কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডল, কালীঘাটের কাকু, সুশীল মোহতার। (SSC Scam)

মামলায় এক নম্বর অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে পার্থর। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনাতে গিয়ে ED-র আইনজীবী জানান, গোটা শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মাস্টারমাইন্ড পার্থ। তিনি শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। অর্পিতা মামলার দু’নম্বর অভিযুক্ত। তিনি নিজে থেকেই স্বীকার করেছেন যে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা তাঁর নয়, পুরোটাই পার্থর। 

ED-র আইনজীবী আদালতে জানান, যাবতীয় ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন পার্থ। অন্যের নামে মোবাইল ব্যবহার করতেন। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন তিনি। অর্পিতার নামে অ্যাকাউন্ট খুলেও পার্থই ব্যবহার করতেন। বৃহস্পতিবার থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। এর পর ডিসচার্জ পিটিশনের শুনানি হবে। তার পর চার্জগঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। শুরু হবে বিচারপ্রক্রিয়া।

এর আগে, মঙ্গলবার আদালতে তিরষ্কৃত হয় ED. তাদের জন্যই চার্জ গঠনে দেরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করে আদালত। আইনজীবীরা আদালতে জানান, তাঁরা সমস্ত নথি হাতে পাননি। পেনড্রাইভে কিছু নথি দিলেও, ডিজিটাল নথি এবং অন্য প্রয়োজনীয় তথ্য নেই, যা বিচারপ্রক্রিয়ার জন্য জরুরি। এর পর বিচারক শুভেন্দু সাহা তদন্তকারীদের প্রশ্ন করেন। জানতে চান, কেন সব তথ্য দেওয়া গেল না। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করতেও বলা হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। 

প্রথমে মঙ্গলবার সন্ধের মধ্যেই সমস্ত তথ্য পৌঁছে দিতে বলা হয়। ED-র তরফে জানানো হ., এত কম সময়ের মধ্যে সবকিছু সম্ভব নয়। এর পর ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় তাদের। সেই মতো বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হল শুনানি। মঙ্গলবার থেকে আদালতের শীতকালীন ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যেও কোর্ট বসছে নিয়েগ দুর্নীতি মামলার জন্যই। চলবে ম্যারাথন শুনানি।

আরও দেখুন



Source link