সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: ওবিসি (OBC) নিয়ে এবার আদালত অবমাননার মামলা। ‘ওবিসি বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশের পরেও কেন চালু কলেজে ভর্তির পোর্টাল?’, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। মুখ্যসচিব ও উচ্চশিক্ষা দফতরকে যুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
আরও পড়ুন, বজবজে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সুকান্ত, উড়ে এল জুতো !
কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই যে ১৪০ সম্প্রদায়ের তালিকা হয়েছিল, OBC সম্প্রদায় ভুক্ত বলে, তার উপর একটা অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। এবং এখানে মামলাকারীদের অভিযোগ হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের এই অন্তবর্তী স্থগিদাদেশের পরেও, ভর্তির যে পোর্টাল রয়েছে, সেই পোর্টাল এখনও চালু রয়েছে। এবং কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে খুব স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছিল, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত যে ৬৬ টি সম্প্রদায়, যারা OBC সম্প্রদায়ভুক্ত ছিলেন, তাঁদেরকে নিয়েই সমস্ত ধরণের নিয়োগ প্রক্রিয়া বা সমস্ত ধরণের ভর্তির প্রক্রিয়া করতে হবে।
তাঁদের অভিযোগ হল যে, তাঁদের নতুন যে পোর্টাল রয়েছে, সেই পোর্টালে ওবিসি A এবং ওবিসি B ক্যাটাগরির উল্লেখ রয়েছে। ফলত এটা কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে, সেই নির্দেশকে অমান্য করা হচ্ছে বলে মনে করছেন। এবং তাঁরা বলছেন যে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নয়, একাধিকবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফ থেকেও, এই একই ধরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, শুধুমাত্র ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত, যে ৬৬ টি সম্প্রদায় OBC ভুক্ত ছিল, তাঁদেরকে নিয়েই সমস্ত ধরণের প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে একেবারে ইচ্ছাকৃতভাবে এই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন। এই অভিযোগেই কিন্তু তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের ফের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, যখন কলকাতা হাইকোর্ট একটা নির্দেশ দিচ্ছে, সেই নির্দেশের পরেও তাঁরা ওদিকেও বারবার দেখেছেন, যে একাধিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও ‘ভর্তি’-র কথা বলা হয়েছে। কোথাও ‘নিয়োগ’-র কথা বলা হয়েছে। এবং আজকেও তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত এই যে ভর্তির পোর্টাল রয়েছে, সেই ভর্তির পোর্টাল কিন্তু চালু হয়েছে।
তাঁদের অভিযোগ, এ রাজ্যের যারা শিক্ষা দফতরের কর্তারা আছেন, তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ রয়েছে, সেই নির্দেশকে কীকরে অমান্য করছেন ? তাঁদের প্রশ্ন হল যে, কলকাতা হাইকোর্ট যখন বারবার স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে, তাঁদের নির্দেশের সারমর্ম কী ? তাঁরা যখন বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছে, যে কলকাতা হাইক্রোটের নির্দেশে মহামান্য বিচারপতিরা কী বলতে চেয়েছেন ? কোন নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে হবে , ভর্তির প্রক্রিয়া সংগঠিত করতে হবে, তারপরেও ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরণের ভুল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।