<p><strong>রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:</strong> ডোমকলে থানার মধ্যে গবেষককে মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ব্যাঙ্কের পাস বই হারানোর অভিযোগ জানাতে গেলে গবেষককে ঘরে বন্ধ করে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ডোমকল থানার এসআই উজ্জ্বল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। SDO ও SDPO-র কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত গবেষক। গবেষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ডোমকলের SDPO-কে। জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার।</p>
<p>থানার মধ্যেই IIT-র গবেষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের এই ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। বিভিন্ন মহলে আছড়ে পড়েছে সমালোচনার ঝড়। ডোমকল থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বাড়ি খড়গপুর IIT-র গবেষক ইমনকল্যাণের। ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে যাওয়ায়, তড়িঘড়ি থানায় গেছিলেন জেনারেল ডায়েরি করতে। তাঁর দাবি, থানায় গিয়ে প্রয়োজনীয় নথি জমা দেন তিনি। দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক তাঁকে নথিতে ব্যাঙ্কের স্ট্যাম্প মেরে আনতে বলেন। সেটা সম্ভব নয় বলতেই গোলমাল শুরু হয়। আক্রান্ত IIT-র গবেষক ইমন কল্যাণ বলেন, "আমি IIT খড়গপুর থেকে PHD করেছি, সেই কারণে আমার ব্যাঙ্ক যে অ্যাকাউন্ট SBI-এর আছে , সেটা খড়গপুরে, সেই অ্যাকাউন্টের পাস বই হারিয়ে যায়। আমি জিডি করতে থানায় যাই। ডোমকল থানায় গেছিলাম, যিনি অফিসার ইনচার্জ ছিলেন, উনি আমার কাগজ দেখার সঙ্গে সঙ্গে বলেন আপনি ব্যাঙ্ক থেকে স্ট্যাম্প মেরে নিয়ে আসুন। আমি বোঝানোর চেষ্টা করি এটা খড়গপুরের অ্যাকাউন্ট সেইজন্য আমার পক্ষে স্ট্যাম্প মেরে আনা সম্ভব নয়। উনি আমার জিডি নিতে অস্বীকার করেন। থানার কিছু স্টাফ চড়াও হয়ে বলতে থাকে তোকে লকাপে ঢুকিয়ে দেব।”<br /><br />IIT-র গবেষকের দাবি, কথাবার্তা চলতে চলতেই, সেখানে হাজির হন ডোমকল থানার SI উজ্জ্বল বিশ্বাস। অভিযোগ তারপরেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন ইমনকল্যাণ। আক্রান্ত গবেষকের অভিযোগ, "SI, ওঁর নাম উজ্জ্বল বিশ্বাস, উনি আসেন। আমি ঘটনা বললে, উনি যে অফিসার ছিলেন তার থেকে জিডির কাগজগুলো কেড়ে নেন, বলেন, আপনি আমার সঙ্গে আসুন। IC-র ঘরের উল্টোদিকে শেষ কোনার ঘরে ঢুকি, ওই ঘরে কোনও CCTV ছিল না। উনি দরজা বন্ধ করে প্রথমে চড় মারেন, ব্যাগ কেড়ে নেন, ফেলে দেন মাটিতে, কিল, চড়, ঘুষি, বেতের লাঠি, মারতে থাকেন, ফোন বের করে ফোন করার চেষ্টা করলে ফোনটাও ভেঙে দিতে যান। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ। বেতের লাঠি দিয়ে, উরুতে, কাঁধে বার বার মারতে থাকেন। (আমার) মা-বাবা আসেন, ওঁদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। মা-বাবাকেও ভয় দেখানো হয়। (এরপর) IC বেরিয়ে এসে আমার জিডি নেন।”<br /><br />থানার মধ্যে এরকম ভয়াবহ অভিজ্ঞার সাক্ষী হওয়ার পরে চিকিৎসকের কাছে যান গবেষক। এই বিষয়ে SDO ও SDPO-র কাছে অভিযোগ জানান তিনি। <strong><br /></strong>মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে, ডোমকলের SDPO-কে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ডোমকলের মহকুমা শাসক শুভঙ্কর বালা বলেন, "আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, বিষয়টি সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসারকে জানিয়েছি, উনি যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন, আশা করি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”</p>
Source link
মাটিতে ফেলে মারধর, থানায় ‘আক্রান্ত’ গবেষক; পুলিশের ভূমিকায় চাঞ্চল্য ডোমকলে
