NOW READING:
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাচারের সম্মুখীন হলে প্রতিবাদ করো’ পড়ুয়াদের পরামর্শ মোনালিসা মাইতির
July 2, 2025

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাচারের সম্মুখীন হলে প্রতিবাদ করো’ পড়ুয়াদের পরামর্শ মোনালিসা মাইতির

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাচারের সম্মুখীন হলে প্রতিবাদ করো’ পড়ুয়াদের পরামর্শ মোনালিসা মাইতির
Listen to this article



<p><strong>কলকাতা: </strong>নিজের কলেজেই ধর্ষণের শিকার হয়েছেন আইনের ছাত্রী। যা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। আরজি কর কাণ্ডের বছর ঘোরার আগে এহেন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলে। এই আবহে পড়ুয়াদের পরামর্শ দিলেন তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষিকা মোনালিসা মাইতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাচারের মুখোমুখি হলে গলা ছেড়ে প্রতিবাদ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। ঘণ্টাখানেক সঙ্গে সুমন অনুষ্ঠানে শিক্ষিকার আফশোস, সরকারি স্কুলগুলিতে যা পাঠ্যবই দেওয়া হয়, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাঠযোগ্য নয়।</p>
<p>আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পা দিয়েছিলেন এ শহরের বুকে সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে। কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হবে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি নির্যাতিতা ছাত্রী। যা ফের একবার উস্কে দিচ্ছে আরজি কর কাণ্ডের স্মৃতি। নিজেরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন ন্যূনতম নিরাপত্তাটুকু তিনি পেলেন না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই আবহে এরাজ্যেরই এক স্কুলের শিক্ষার পরামর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অত্যাচারের সম্মুখীন হলে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গলা ছেড়ে করতে হবে প্রতিবাদ। তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষিকা মোনালিসা মাইতি বলেন, "আমার বাচ্চা, শুধু আমার স্কুলের বাচ্চার কথা বলছি না, যারা এই ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছো, তারা নিজের গলাটা ছাড়ো। ধর্ষিতা সম্পর্কে আমাদের যে সামাজিক ট্যাবু রয়েছে, সেটাকে ভেঙে বেরিয়ে এসো।”</p>
<p>মোনালিসা মাইতি এরাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা প্রসঙ্গেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর। তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবনের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, "এর মধ্যে পুড়ে মরছে মেধা। স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার নামে শিক্ষাব্যবস্থার শিরদাঁড়াটাই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ক্ষেত্রে যে বইগুলো আমাদের দেওয়া হয়, সেই বইগুলো পাঠযোগ্য নয়। স্কুল লাইব্রেরি বাদ দিলাম। পাড়ার লাইব্রেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞানচর্চার কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারি স্কুল যার উপর বেশিরভার নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত সন্তানের নির্ভর করে থাকে সেই স্কুলগুলি উঠে যাচ্ছে। পরিবর্তে বাড়ছে মদের দোকান। তাহলে বাচ্চারা কোথা থেকে শিখবে? কার কাছ থেকে শিখবে? একটা সুনীতা উইলিয়ামস যখন মহাকাশে যান না, তখন আমরা যাঁরা পিছিয়ে রয়েছে তাঁদের সবার হয়ে তিনি ইতিহাস রচনা করেন। তেমনভাবে শিক্ষাকেন্দ্রে যখন এই ধরনের ঘটনা ঘটে তখন আমরা কিন্তু আধুনিকতা থেকে পিছিয়ে আসি শত শত আলোকবর্ষ দূরে। কিন্তু রাজনীতি যুক্ত ব্যক্তিরা এগুলো বুঝতে, অনুভব করতেই পারেন না। অন্যের ঘাড়ে দায় না ঠেলে, নিজের দায়িত্ব কবে পালন করবেন আপনারা? কেন বাচ্চারা উপযুক্ত কাজ পাবে না? কেন যৌবন ফুটপাতে বসে থাকবে? কেন তাঁরা আগামীকাল কী খাব ভাবছে? ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে বাচ্চাদের হাতে ট্যাব তুলে দেওয়া হয়। কেন? না তারা শিখবে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা হয় কি?”</p>



Source link