NOW READING:
আজ শালবনিতে জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাসে মুখ্যমন্ত্রী, থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও
April 21, 2025

আজ শালবনিতে জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাসে মুখ্যমন্ত্রী, থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও

আজ শালবনিতে জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাসে মুখ্যমন্ত্রী, থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও
Listen to this article


শালবনি : আজ শালবনিতে জিন্দলদের জোড়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিন্দল গোষ্ঠীর ১৬০০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস রয়েছে। ৮০০ ইউনিটের দু’টি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ছে জিন্দল গোষ্ঠী। খরচ হবে ১৬ হাজার কোটি টাকা। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে থাকছেন জিন্দল গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান সজ্জন জিন্দল। অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। গোয়ালতোড়ে ১১২ মেগাওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের সঙ্গে একটি জার্মান সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্প। আগামীকাল মেদিনীপুর কলেজ ময়দানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা রয়েছে। সেখানে সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিলই এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ২১ এপ্রিল বেলা ২টোয় আমরা শালবনিতে জিন্দলদের পাওয়ার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করতে যাচ্ছি। ২০১১-তে যে সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১ কোটি ৭ লক্ষ, এখন সেটা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৩০ লক্ষ। অর্থাৎ পাওয়ার ব্যবহার করার গ্রোথ হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ। দেউচা-পাচামি কোল প্ল্যান্ট হয়ে গেলে একশো বছরে কোনও সমস্যা বাংলায় থাকবে না। যারা সিইএসসি চালায় তারা দাম বাড়ায়, অনেক সময় দাম বেড়ে গেলে। সেটা আমাদের হাতে নেই। ফলে, আগামীদিনে পাওয়ার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। বাড়াতে হবে। যত পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে তত পাওয়ারের দাম ব্যালেন্স হবে। শালবনিতে হচ্ছে ৮০০ মেগাওয়াট করে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট। অর্থাৎ ১৬০০ মেগাওয়াট। যেখানে জিন্দলরা খরচ করছেন ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাছাড়াও তাঁরা অনেকগুলো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করবেন। 

প্রসঙ্গত, দিন দিন বাড়ছে গরম। তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে তরফে একাধিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার দেউচা-পাচামির কথা উঠে আসছে। ‘দেউচা পাঁচামি হলে আর বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না’, বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বাজেট পেশের পরেই সাংবাদিক বৈঠকে বিদ্যুতের দামের প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। দেউচা পাচামির কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুতের দাম এবং CESC প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর মতে, আগামী দিন বিদ্যুতের দাম আরও সস্তা হয়ে যাবে। সেটা কীভাবে সম্ভব তারও রূপরেখা জানান। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘দেউচা-পাচামি থেকে আমরা যে কয়লা পাব, তাতে ১০০ বছর যে বিদ্যুৎ তৈরি করব, সেই পাওয়ারে আমাদের বিদ্যুতের দাম আগামীদিনে…যখন কয়লাটা উৎপাদিত হয়ে যাবে …অনেক কমে যাবে। রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালেও, CESC বাড়ায়। মানুষকে অনেকটাই ভুগতে হয়। ওটা আমাদের হাতে নেই। ওটা স্বশাসিত সংস্থা। সিপিএম থাকাকালীন দিয়ে গেছে। ওদের দিল্লির একটা কী বোর্ড আছে, সেই বোর্ডের মাধ্যমে। তা সত্ত্বেও বলছি, আগামী দিনে বিদ্যুতের দাম অনেক সস্তা হয়ে যাবে। এই দেউচা-পাচামিটা হতে পারলে।’

আরও দেখুন



Source link