ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা : উত্তর কলকাতার পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে কাপড়ের গুদামে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীবিহারীজি আর্কেড বিল্ডিংয়ের চারতলায় আগুন লাগে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ওই বাড়ির বাসিন্দা দুই পুরোহিতকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলোরা সাহা। কাপড়ের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা হবে বলে জোড়াবাগান থানার পুলিশ জানিয়েছে। ওই বিল্ডিংয়ের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে দমকল।
বিস্তারিত ঘটনা…
গতকাল মধ্যরাতে শহরের বুকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। কলকাতা পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট। এখানকার একটি ৪ তলার বিল্ডিংয়ের ৪ তলাতেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এখানে বিল্ডিংয়েই পুরোহিতের কাজ করা দুই ব্যক্তির ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এমনই খবর দমকল ও পুলিশ সূত্রে।
এই বিল্ডিংয়ে ৪ তলায় কাপড়ের একটি গুদাম রয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ সেখান থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলে খবর দেওয়া হয়। এরপর দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। কিন্তু, এই বিল্ডিংয়ের ভেতরে তাঁরা ঢুকতে পারেননি। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করতে পারেননি। কারণ, এই বিল্ডিংয়ে গেটে তালা দেওয়া ছিল। এরপর তালা ভেঙে তাঁরা ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। দমকলের এক আধিকারিক বলেন, “শুরুতে ভয়াবহ পরিস্থিতি ছিল। কারণ, এটা কাপড়ের গোডাউন। দোকান ও গোডাউন। প্রচুর ধোঁয়া বেরোচ্ছিল। এর মধ্যেই সবক’টি দরজা তালাবন্ধ। ফ্লোর কাটতে কাটতে ওপরে ওঠা হয়েছে। উঠে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি। খুব দুঃখজনক ঘটনা যে আমাদের কাছে নোটিস এল প্রায় ঘণ্টা তিনেক বাদে, যে এখানে দু’জন লোক আটকে আছেন। পাশের বিল্ডিং থেকে সেখানে প্রবেশ করলাম। তাঁদের অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেটাও দরজা ভেঙে। উদ্ধার করে তাঁদের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেওয়া হয়েছিল।”
ওই আধিকারিক আরও জানান, গেট বন্ধ করে রাখা যায় না। কিন্তু, যেহেতু এটা মার্কেট কমপ্লেক্স। রেসিডেন্সিয়াল কমপ্লেক্স নয়, সেহেতু নিরাপত্তার খাতিরে গেট বন্ধ করে রাখতে পারে। তারমধ্যে যে মানুষ ছিল সেটা আমাদের জানানো উচিত ছিল। যেটা আমরা জানতে পারিনি। অনেক পরে জানতে পেরেছি।
আরও দেখুন