<p><strong>কলকাতা: </strong>চাকরি হারিয়ে সর্বহারা তাঁরা। সেই চাকরি দাবিতেই এদিন গর্জে উঠেছিলেন। জেলায় জেলায় DI অফিস অভিযানের ডাক দেন সদ্য চাকরহারারা। আর কসবায় DI অফিসে আন্দোলন করতে গিয়ে জুটল পুলিশের লাঠি। রীতিমতো মাটিতে ফেলে পেটানো হল তাঁদের। এখানেই শেষ নয়, সদ্য চাকরিহারাদের লাথিও মারল পুলিশ। পাল্টা পুলিশের দাবি, হামলা করা হয়েছে তাদের উপরও। </p>
<p>চাকরিহারা শিক্ষিকাদের উপরেও লাঠিচার্জ পুলিশের। বুধবার কসবায় DI অফিসের সামনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "পুরো ফুটেজটাই দেখেছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। সিনিয়র অফিসাররা রিপোর্ট দেবেন আমাদের। যে ভিস্যুয়াল দেখানো হচ্ছে সেটা একটা পার্ট। আরেকটা দেখানো হয়নি। পুলিশের যে ছবি সামনে এসেছে তা কাম্য নয়। সেই ভাবে সবাইকে বলা হয়েছে। তবে পুরো ছবিটা নিশ্চয়ই দেখতে হবে। পুলিশ কেন বাধ্য হল, সেটা দেখার দরকার আছে। তার আগের ফুটেজ আছে, যেখানে পুলিশের উপর আক্রমণ হল সেটাও দেখতে হবে। পুলিশ লাথি মারছে এটা একেবারেই কাম্য নয়। রিপোর্ট পেয়ে দেখব, কী কী করণীয় আছে।” অন্যদিকে কলকাতা পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই এদিন বলপ্রয়োগ করতে হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা পোস্ট করে লিখেছে, "আজ কসবা ডিআই অফিসের বাইরে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে জানানো হচ্ছে যে, প্রথমে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা, বিনা উসকানিতে পুলিশ কর্মীদের উপর হামলা চালায় এবং হিংসাত্মক আচরণ করে, যার মধ্যে মহিলা পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন। চারজন পুরুষ পুলিশকর্মী এবং দুইজন মহিলা পুলিশকর্মী আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আরও ক্ষয়ক্ষতি ও আহতের ঘটনা রোধ করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ করে। এই ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।”</p>
<p>লালবাজার সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যোগ্য় চাকরিপ্রার্থীরা যখন গার্ডরেলে ধাক্কাধাক্কি করেন, ৪ জন পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের মধ্য়ে ২ জন রুবি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি, বাকি ২ জন চিত্তরঞ্জন ন্য়াশনাল মেডিক্য়াল কলেজে চিকিৎসাধীন। ১ জন পুলিশ কর্মীর অবস্থা গুরুতর। পুলিশ মার খাওয়ার পর, উন্মত্ত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতেই লাঠিচার্জ করা হয়। পাশাপাশি, পুলিশের হুঁশিয়ারি- আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশের সাউথ সাবার্বান ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত বলেন, "ওরা প্রথমে আমাদের এখানে, তাঁরা শিক্ষক, তাঁদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার আছে। প্রথমে ব্য়ারিকে়ড ছিল, ওরা ব্য়ারিকেডটা ভেঙে, তারপর গেটের সামনে চলে আসে। পুরো গেটটা ভেঙে ভিতেরে চলে আসে। এটাতে আমাদের পুলিশকর্মীও আহত হয়েছে। আমরা আইনত ব্য়বস্থা নেব।”</p>
Source link
বাধ্য হয়ে হালকা বলপ্রয়োগ, বলছে কলকাতা পুলিশ ; লাথি মারা কাম্য নয়…মন্তব্য পুলিশ কমিশনারের
