CBI-এর মামলাতেও জামিন পেলেন ‘কালীঘাটের কাকু’, মানবিক ও স্বাস্থ্যজনিত কারণে আবেদন মঞ্জুর

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ‘কালীঘাটের কাকু’র অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর হয়েছে। অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাস্থ্যজনিত এবং মানবিক কারণে জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে আদালত জানিয়েছে, বেহালার বাড়িতেই থাকতে হবে ‘কালীঘাটের কাকু’কে। তাঁর ফোনে নজরদারি চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI. চিকিৎসক, আইনজীবী, বাড়ির লোক ছাড়া কেউ দেখা করতে পারবেন না তাঁর সঙ্গে। (Kalighater Kaku)
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এবার CBI-এর মামলাতাো অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেলেন। তাঁর অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির প্রয়োজন রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে একাধিক হাসপাতাল। সেই সব রিপোর্ট আদালতে জমা দেন ‘কালীঘাটের কাকু’। সেই সাপেক্ষেই শর্তসাপেক্ষে আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, বেহালার বাড়িতেই থাকতে হবে তাঁকে। বাড়ি এবং হাসপাতালের বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না তিনি। CBI-কে জানিয়ে দু’টি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর ফোনের উপর নজরদারি চালাতে পারবে CBI. (Sujay Krishna Bhadra)
চিকিৎসক, আইনজীবী এবং বাড়ির লোক ছাড়া কেউ দেখা করতে পারবেন না ‘কালীঘাটের কাকু’। তাঁর বাড়িতে মোতায়েন থাকবে CRPF. তাই জেল থেকে বেরিয়ে হাসপাতাল যেতে কোনও আইনি বাধা থাকল না তাঁর। বি.আর সিংহ হাসপাতাল থেকে আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর আবেদন জানান CBI-এর আইনজীবিরা। আগামী ২০ মার্চ পরবর্তী শুনানি। মানবিকতার খাতিরে, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করা হল বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন ‘কালীঘাটের কাকু’। দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তবে আজ CBI-এর মামলাতেও জামিন মঞ্জুর হয়ে যাওয়ায় জেল থেকে বেরিয়ে আসতে আর বাধা রইল না তাঁর। ২০ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে মামলার অন্য দিকগুলি খতিয়ে দেখে হবে বলে খবর। আপাতত চিকিৎসা করাতে পারবেন ‘কালীঘাটের কাকু’।
প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় এবার CBI-এর হাতে গ্রেফতার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেফতারির আগে এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মুখে শোনা যায় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের কথা শোনা গিয়েছিল। বলেছিলেন, “আমি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে চাকরি করি। আমার সাহেবের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওঁকে ছুঁতে পারবে না, তাই আমাকে ডাকছে।” CBI-এর দাবি ছিল, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত ‘কালীঘাটের কাকু’। বলতে গেলে, তিনি দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। চাকরি বিক্রির দর কষাকষিতে তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
আরও দেখুন