নয়াদিল্লি: যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর ইতিমধ্যেই গতকাল জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যতই পরমাণু শক্তিধর দেশ হোক না কেন পাকিস্তান, মোদি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কোনও নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল সহ্য করবে না ভারত। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পরেই গর্জে ওঠে ভারত। ১৯৬০ সালে দুই দেশের মধ্যে হওয়া সিন্ধু জলবন্টণ চুক্তি নিয়ে, পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করে মোদি সরকার। বলার অপেক্ষা রাখে না এথেকে বঞ্চিত হলে পাকিস্তানের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে !
আরও পড়ুন, পাকিস্তানকে ‘সমর্থন’, তুরস্কের আপেলকে বয়কটের সিদ্ধান্ত পুনের ব্যবসায়ীদের ! ‘ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় পাশে ছিল ভারত, সব ভুলে গেল..’ !
ট্রাম্পের সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণার পর মূলত ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই সমাঝোতায় রাজি হয়। কিন্তু সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে ফের হামলা চালায় পাকিস্তান। এবার এখানে একটা কথা উঠে আসছে, অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন ফের জঙ্গি হানা হলে যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। কড়া হাতে সন্ত্রাস দমন করা হবে। তাই প্রশ্নটা থেকেই যায় সিন্ধু জল চুক্তি আদৌ পাকিস্তানের কপালে আছে কি ?এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসে খোলসা করলেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
রণধীর জয়সওয়াল এদিন স্পষ্ট জানিয়েছেন, মূলত একটা বন্ধুতপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেই IWT চুক্তিকে মান্যতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানে সন্ত্রাস শিল্পের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ চালিয়ে এসেছে ভারতে। তা এখনও চলছে। তাই সন্ত্রাসবাদ যদি বন্ধ না হয়, তাহলে সিন্ধুর জলচুক্তি স্থগিত থাকবে।’
আরও দেখুন