জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়ুর্বেদ নিয়ে অসাধারণ কাজ করছে, যা প্রাচীন জ্ঞানকে আজকের বিজ্ঞানের সাথে মিশিয়ে কাজ করছে। কারণ, পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট শুধু আয়ুর্বেদ প্রচার করছে না, পাশাপাশি এটি বিশ্বের মানুষদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার জন্যও অনুপ্রাণিত করছে। একই সঙ্গে, পতঞ্জলি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত করে মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা করছে।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখতে ফলো করুন Google News
এটি বুঝতে হবে যে, আয়ুর্বেদ হাজার বছর পুরানো ভারতীয়দের জন্য একটি দেশীয় চিকিৎসার পদ্ধতি। তবে পতঞ্জলি মনে করেছে যে, এটি শুধুমাত্র ভারতীয় বাড়ির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা উচিত নয়। পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের শুরু ২০১৭ সালে হরিদ্বারে একটি নন-প্রফিট রিসার্চ ইনস্টিটিউট হিসেবে হয়েছিল। এর উদ্দেশ্য ছিল আয়ুর্বেদকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত করা এবং মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করা। পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ৩০০ এর বেশি বিজ্ঞানীর একটি দল কাজ করছে। তারা প্রাচীন আয়ুর্বেদিক বইগুলো পরীক্ষা করেন, ঔষধি গাছপালা নিয়ে গবেষণা করেন এবং তারপর ল্যাবে পরীক্ষা করেন, এগুলো আসলেই কাজ করে কিনা।
প্রাচীন আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ
পতঞ্জলি রিসার্চ ফাউন্ডেশন শুধু পুরনো আয়ুর্বেদিক জ্ঞান বাড়াচ্ছে না, বরং এটি আধুনিক প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের সাথে যুক্ত করারও কাজ করছে। এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল, পৃথিবীজুড়ে মানুষের কাছে তাদের ভাষায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া। এই চিন্তাধারার ভিত্তিতে, পতঞ্জলি গার্ডেনে ১ হাজারের বেশি বিরল ঔষধি গাছপালা লাগানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি গাছ সম্পর্কে বেশি তথ্য উপলব্ধ নেই। এসব ঔষধি গাছপালা নিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্যে গবেষণা করা হচ্ছে, যাতে নতুন এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি বের করা যায়, যাতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়।
বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা মানুষের বিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে
আয়ুর্বেদ একটি পুরনো চিকিৎসার পদ্ধতি, যার ওপর মানুষের বিশ্বাস এখন দ্রুত বাড়ছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট। কারণ, পতঞ্জলি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ উপাদান দিয়ে তৈরি ওষুধ দিয়ে মানুষদের চিকিৎসা করছে। এসব ওষুধ সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার পরে ব্যবহার করা হয়।
পতঞ্জলির প্রোডাক্টসের বিশেষত্ব হল এগুলো প্রাকৃতিক এবং জৈবিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। আয়ুর্বেদিক গাছপালা এবং প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে, পতঞ্জলি তার প্রোডাক্টগুলোকে কার্যকর এবং নিরাপদ বানায়। এরপর, এগুলোর বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা হয়, যার ফলে আজ এটি একটি বিশ্বাসযোগ্য ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।
পতঞ্জলির প্রতিটি প্রোডাক্টের নিরাপদ এবং কার্যকর হওয়া
পতঞ্জলি প্রতিটি প্রোডাক্টকে সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর করার জন্য নিজস্ব ল্যাবে গবেষণা করে। এটি নিশ্চিত করার জন্য যে, পতঞ্জলির কোনো প্রোডাক্টে কোনো রাসায়নিক উপাদান মেশানো হয়নি। কারণ, এই ওষুধগুলো সম্পূর্ণভাবে আয়ুর্বেদিক গাছপালা এবং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়।
এর জন্য, পতঞ্জলির বিজ্ঞানীরা পুরনো বেদ এবং মহাপুরুষদের দেওয়া আয়ুর্বেদিক জ্ঞানের সাহায্য নেন, যাতে এটা নিশ্চিত করা যায় যে পতঞ্জলির প্রোডাক্টগুলো পুরোপুরি নিরাপদ এবং কার্যকর। কারণ এর লক্ষ্য হল মানুষের স্বাস্থ্য উন্নত করা। এছাড়া, পতঞ্জলি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়ুর্বেদ এবং এর উপকারিতা বুঝতে পুরনো সংস্কৃত এবং পাণ্ডুলিপি নিয়েও গবেষণা করে।
আরও পড়ুন: গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ! আইনি নোটিস পাঠাচ্ছে আহমেদাবাদের আদালত?
আরও পড়ুন: ‘ভারত সাহায্য করতে প্রস্তুত’, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের পাশে মোদী…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)