বাপন সাঁতরা, আরামবাগ: বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের সন্দেহের জেরে এবার মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল হুগলির আরামবাগে। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর।
রবিবার সকালে আরামবাগের সালেপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। পরকীয়ার সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা বলে জানা গেছে। মৃতার নাম মিঠু দাস। অভিযুক্ত রণজিৎ দাস তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করার পর থানায় আত্মসমর্পণ করে। অভিযোগ, মৃতার ১৫ বছর আগে প্রথম বিয়ে হয়েছিল গোঘাট থানা এলাকায়। তার কয়েকবছর পর রণজিতের সঙ্গে পালিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন মিঠু। তারপর থেকে মেয়ের সঙ্গে বাপেরবাড়ির কোনও সম্পর্ক নেই বলে পরিবারের লোকের দাবি।
এদিকে রণজিত সোনার কাজে বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকে। অন্যদিকে তার মাঝে বিয়ের পরেও মিঠুর পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারপরই রণজিতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। শনিবার রাতে রণজিতের সঙ্গে মিঠুর চরম অশান্তি হয়। তারপরই খুনের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরামবাগ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর দাদার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ! ‘চাকরি ও রেশন ডিলারশিপ পাইয়ে দিতে ৩০ লক্ষ টাকা..’
একুশ সালে স্ত্রীকে ‘খুন করে’ আত্মসমর্পণ স্বামীর। চিত্পুরে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক সন্দেহে খুনের অভিযোগ। চিত্পুর থানায় আত্মসমর্পণ (Surender) অভিযুক্ত স্বামীর। শ্বাসরোধ করে খুন, প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। চিৎপুর থানা এলাকার রাজা মণীন্দ্র রোডের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন নিহত মুনমুন দাস, তাঁর স্বামী ও সন্তান। সকাল ১১টা নাগাদ মুনমুন দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস থানায় গিয়ে এবং পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন। ঘটনাস্থলে চিৎপুর থানার পুলিশ, ছিলেন ফরেন্সিক আধিকারিকরাও। পাড়ার মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল এলাকায়।
আরও দেখুন