Guillain Barre Syndrome: মহারাষ্ট্র থেকে বাংলা, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম। ৯ জানুয়ারি থেকে মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে অন্তত ১১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন জিবি সিনড্রোমে। অনেকেই রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। মৃত্যু হয়েছে একজনের। এর পাশাপাশি বাংলাতেও ২৬ জানুয়ারি থেকে মাত্র চারদিনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ক্রমশ বঙ্গে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে GB সিনড্রোম। ধনেখালিতেও GB সিনড্রোমের উপসর্গ থাকা ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা মেডিক্যালে আনার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। ৪৮ বছরের ব্যক্তির উপসর্গ দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। কয়েকদিন ধরে ডায়েরিয়ার মতো উপসর্গ ছিল তাঁর। শরীরের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাচ্ছিল, শ্বাসকষ্টও ছিল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
অন্যদিকে GB সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে আরও এক কিশোরের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারি ওই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। ওই কিশোরের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল ওই কিশোর, খবর স্বাস্থ্যভবন সূত্রে। বি সি রায় হাসপাতালে আরও দুই শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই দুই শিশুর মধ্যে একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক, তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। এর আগে আমডাঙা নিবাসী কিশোরের মৃত্যু হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে। ডেথ সার্টিফিকেটে সেপটিক শক, GB সিনড্রোমের উল্লেখ রয়েছে।
গিয়ান ব্যারে সিনড্রোমে এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে আমডাঙার ১৭ বছরের কিশোরের। পরিবারের অভিযোগ, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে আনার পরে শারীরিক দুর্বলতার কথা বলে ইঞ্জেকশন দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল রোগীকে। জোর করেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। GB সিনড্রোম শনাক্ত হওয়ার পর দেখা যায়, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ইঞ্জেকশন নেই, রোগীর পরিবারকে বাইরে থেকে কিনতেও দেওয়া হয়নি। পরে প্লাজমা থেরাপি শুরু হলেও, কিশোরকে বাঁচানো যায়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। আমডাঙার বাসিন্দা ওই কিশোরকে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ২১ জানুয়ারি এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার মৃত্যু হয় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের।
এনআরএস- এ ভর্তি কিশোরের গিয়ান ব্যারে সিনড্রোমে মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। রাজ্যে GB সিনড্রোমে কতজন আক্রান্ত, খোঁজ নিতে বৈঠক করা হয়েছে। চিকিৎসা পরিকাঠামো কী আছে, কী করণীয়, তা জানতে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠক হয়েছে। বি সি রায় ও কলকাতা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন GB সিনড্রোমে আক্রান্ত ২ শিশু। পার্ক সার্কাস আইসিএইচ- এ ভর্তি ভেন্টিলেশনে রয়েছে ৮ ও ৯ বছরের দুই বালক।
আরও পড়ুন- নতুন ত্রাস গিয়ান ব্যারে সিনড্রোম, আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সচেতনতা, বলছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ
আরও দেখুন