# Tags
#Blog

রিঙ্গার ল্যাকটেট’ বিশুদ্ধ না হওয়াই বিপত্তির কারণ? সন্দেহ প্রকাশ তদন্ত কমিটির

রিঙ্গার ল্যাকটেট’ বিশুদ্ধ না হওয়াই বিপত্তির কারণ?  সন্দেহ প্রকাশ তদন্ত কমিটির
Listen to this article



<p><strong>সন্দীপ সরকার, অর্ণব মুখোপাধ্য়ায়, কলকাতা:</strong> মা হারিয়েছে ১ দিনের শিশু। মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন আরও ৩ প্রসূতি। এই ভয়ঙ্কর অবস্থার জন্য় দোষ কাদের? সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের ঘটনায়,’রিঙ্গার ল্যাকটেট’ স্য়ালাইনের শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তদন্ত কমিটি।&nbsp;</p>
<p>সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য় ভবনে পেশ করা তদন্ত কমিটির ৫ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে,’রিঙ্গার ল্যাকটেট’ বিশুদ্ধ না হওয়াই বিপত্তির কারণ বলে তাদের সন্দেহ। রিপোর্টে বলা হয়েছে,প্রসূতিদের অসুস্থতার কারণ হিসেবে, ‘RL ইনফিউশন’ এবং ‘অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশনে’র ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তদন্ত কমিটির কাছে মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গত বুধবার, ৮ তারিখ, রাত ১০টা ৫০ থেকে ভোর ৬টা ৫০, ৮ ঘণ্টায় ৭টা ডেলিভারি হয়। সূত্রের খবর, এই ৭ প্রসূতির মধ্য়ে ২ জনের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ‘রিঙ্গার ল্য়াকটেট’ প্রয়োগের সঙ্গে সঙ্গে জটিলতা শুরু হয়েছে। তারপর আরও ৩ জনকে দেওয়া হয় এই একই স্য়ালাইন। তাঁদের ক্ষেত্রেও যখন একই জটিলতা তৈরি হয়, তখন ঝুঁকি না নিয়ে বাকি ২ প্রসূতির পরিবারকে বাইরে থেকে স্য়ালাইন কিনে আনার কথা বলা হয়।&nbsp;</p>
<p>সূত্রের খবর,কমিটির তদন্তে এও উঠে এসেছে যে, মেডিসিন বিভাগের রোগীদের ক্ষেত্রেও RL স্যালাইন প্রয়োগের পরই জ্বর এবং কাঁপুনি সমস্যা দেখা গেছে। সূত্রের খবর, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, প্রসূতিদের সমস্যা বাড়িয়েছে ‘অক্সিটোসিনে’র অতিরিক্ত ব্যবহার। ৫ জন রোগীর ক্ষেত্রেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় ‘অক্সিটোসিন’ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকের একাংশ এর উল্টো যুক্তিও দিচ্ছেন! চিকিৎসক তমোনাশ চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত ব্লিডিং হলে অক্সিটোসিন দিতে হয়। সেটা কী পরিমাণ দিতে হবে তা অবস্থা বুঝে দিতে হয়। ডাক্তাররা সেটা ঠিক করেন। অক্সিটোসিনের মান কেমন ছিল দেখতে হবে, তদন্তের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। &nbsp;</p>
<p>চিকিৎসকদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, কর্ণাটকের যে সংস্থা দেশের বিভিন্ন রাজ্য়ে একচেটিয়াভাবে অক্সিটোসিন সরবরাহ করে, তাদের মান নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন উঠেছে। কেন্দ্র অক্সিটোসিন উৎপাদনের জন্য় ওই সংস্থাকেই চিহ্নিত করলেও তাদের মান নিয়ে পরবর্তী সময়ে প্রশ্ন ওঠায়, ২০১৯ সালে দিল্লি হাইকোর্ট রায় দেয়, অন্য় সংস্থাও অক্সিটোসিন তৈরি করতে পারবে। তারপর থেকেই একাধিক রাজ্য় অন্য় সংস্থা থেকে অক্সিটোসিন কিনতে শুরু করে। সেই সব রাজ্য়ে প্রসূতি মৃত্য়ুর হার যথেষ্ট কম। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেই পথ অনুসরণ করেনি, কেন?&nbsp;<br />&nbsp;<br />জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন,’রিঙ্গার ল্যাকটেট’ বিশুদ্ধ না হওয়াই বিপত্তির কারণ? সূত্রের খবর, মেদিনীপুর মেডিক্য়ালের ঘটনায়, এমনটাই সন্দেহ করছে তদন্ত কমিটির।রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রসূতিদের অসুস্থতার কারণ হিসেবে, ‘RL ইনফিউশন’ এবং ‘অক্সিটোসিন ইঞ্জেকশনে’র ভূমিকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুর জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ আগেই তুলেছেন অভিযোগ ও জানিয়েছিল প্রশাসনকে। কর্ণাটকে ব্ল্যাক লিস্টেড কোম্পানি r স্যাম্পল টেস্ট আগেই হলো না কেনো। অক্সিটোসিন এর নিম্ন মান নিয়েও অভিযোগ আগে হয়েছে। অভিযোগ করতে গেলে সিনিয়র ডাক্তার ট্রান্সফার হয়েছে।</p>
<p>এর আগে স্য়ালাইনকাণ্ডে সোমবার ইঙ্গিতপূর্ণভাবে মুখ্যসচিব বলেছিলেন, নিয়ম অনুযায়ী, অস্ত্রোপচার হলে সব সময় এক জন সিনিয়র চিকিৎসকের উপস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তারেরা সেই কাজ করেন। কিন্তু মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতিদের চিকিৎসার সময় সেই &lsquo;নিয়ম&rsquo; মানা হয়নি। একইভাবে মেদিনীপুরকাণ্ডে ঘুরিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের দিকে আঙুল তুলেছেন কুণাল ঘোষও।&nbsp;</p>
<p>আরও পড়ুন, <a title="’TMC নেতা আক্রান্ত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু অভিযুক্ত যদি শাসক হয় ..’ !" href="https://bengali.abplive.com/district/bjp-leader-suvendu-adhikari-questioned-on-bengal-police-responsibility-due-to-multiple-tmc-leader-murder-case-1115420" target="_self">’TMC নেতা আক্রান্ত হলে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু অভিযুক্ত যদি শাসক হয় ..’ !</a></p>
<p>তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক &nbsp;কুণাল ঘোষ বললেন, অপারেশনের সময় সিনিয়র চিকিৎসক ছিলেন না। পিজিটিরা অপারেশন করেছে। যারা বলেছিলেন দফা এক দাবি এক, তাদের জন্য় এটা হয়েছে। স্য়ালাইনকাণ্ডে পাল্টা এই প্রশ্নও উঠছে, রিঙ্গার ল্য়াক<a title="টেট" href="https://bengali.abplive.com/topic/tet" data-type="interlinkingkeywords">টেট</a>ের মান নিয়ে যখন কর্ণাটক সরকার প্রশ্ন তুলল তখনই কেন পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য় দফতর তার প্রয়োগ নিষিদ্ধ করল না? মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায়, কর্ণাটকের সংস্থার তৈরি অক্সিটোসিনের ব্য়বহার যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্য় বন্ধ করে দিল, তখনও কেন বাংলা সেই পথে হাঁটল না? কোন স্বার্থে, কার স্বার্থে এই প্রশ্নগুলির উত্তর কি কোনওদিন পাওয়া যাবে?&nbsp;</p>



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal