বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: চোর-দূষ্কৃতী ধরা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা যে পুলিশের কাজ, সেই পুলিশের এখন মাথা ব্যাথার কারণ ৬ টি উট। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, ৬ টি উট। সুদূর রাজস্থান থেকে যেগুলিকে বেআইনিভাবে আনা হয়েছিল হলদিয়ার সুতাহাটা থানা এলাকায়।
আরও পড়ুন, ৬ মাস আগে প্রেমের বিয়ে, জামাইষষ্ঠীতে বাপের বাড়ি এসে ‘আত্মঘাতী’ গৃহবধূ !
গতকাল এক পশুপ্রেমী ও পশু সুরক্ষা সংগঠনের তরফে সুতাহাটা থানায় খবর আসে, যে এই থানা এলাকায় বাসুলিয়াতে সাতটি উট আনা হয়েছে। তারপর অভিযানে নামে সুতাহাটা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সুতাহাটা থানা সূত্রে খবর, বেআইনি ভাবেই সেগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছিল চোরাপথে। ছয়টি উটকে তারা উদ্ধার করে নিয়ে আসে সুতাহাটা থানায়। একটি উটের শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায়, সেটি উঠতে পারেনি। ফলে এলাকায় তাকে সুরক্ষার সাথে রাখা হয়েছে। বাকি ছয়টি উটকে হাঁটিয়েই নিয়ে আসা হয় সুতাহাটা থানায়।
পশুপ্রেমী ও পশু সুরক্ষা সংগঠনের সদস্য সুব্রত দাসের দাবি, উট রাজস্থানের জাতীয় পশু। সেগুলিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কোনো আইন নেই। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী চোরা পথে সেগুলি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল সহ বাংলাদেশে পাচার করছে। আর উদ্ধার হওয়া ছয়টি উট এখন মাথাব্যথার কারন সুতাহাটা থানার পুলিশের। কেন না উটের খাওয়ার জোগাড় করা তাদের দেখভাল করতেই ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে পুলিশ কর্মী সহ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের।
জেলা পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলার প্রাণী সম্পদ দফতরের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাছাড়া আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় উটগুলিকে ফের রাজস্থানে পাঠানোর ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে বা কারা এই উটগুলিকে নিয়ে এসেছিল, এর পেছনে কারা কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখছে সুতাহাটা থানার পুলিশ। তবে কত তাড়াতাড়ি এই উটগুলিকে ফেরত পাঠানো যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।