কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল হয়নি। ভরাডুবি হয়েছে বিধানসভা উপনির্বাচনে। পর পর দলের এই ব্যর্থতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কারও উপর দোষারোপ করার পরিবর্তে দলের অন্দরেই খামতি রয়েছে বলে মেনে নিলেন তিনি। ভোট করানো শিখতে হবে বলেও মন্তব্য করলেন দিলীপ। (Dilip Ghosh)
একসময় একাহাতে রাজ্যে বিজেপি-র পাল ধরে রেখেছিলেন দিলীপ। কিন্তু বর্তমানে রাজ্য বিজেপি-তে এক অর্থে কোণঠাসা তিনি। দক্ষ সংগঠক হিসেবে একসময় পরিচিতি থাকলেও, লোকসভা নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন, তাও আবার তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে। নির্বাচনের পর পর যাও বা দেখা যেত তাঁকে, ইদানীং ধরা দেন না সেভাবে। (West Bengal BJP)
সেই আবহেই রবিবার দলীয় বৈঠকে বক্তৃতা করতে দেখা গেল দিলীপকে। আর সেখানেই নির্বাচনী ফল নিয়ে দলের খামতিগুলি তুলে ধরলেন তিনি। দিলীপের কথায়, “লড়াই করে ৭৭-এ পৌঁছেছিলাম আমরা। আশা করেছিলাম ১০০-র বেশি আসন পাব। সরকার হয়ে যাবে বলছিলেন সাধারণ মানুষও। সকলেই ধরে নিয়েছিল আমরা জিতব। কিন্তু হয়নি। তার মানে আমাদের মধ্যেই কোথাও ফাঁক রয়েছে।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাংলাদেশের মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে আশ্রয় দেব: মমতা
দলীয় বৈঠকে দিলীপকে আরও বলতে শোনা যায়, “আমাদের অভিজ্ঞতা কম। আমরা সংগঠন জানি, আন্দোলন জানি, কিন্তু ভোট করাতে জানি না। ভোট কী করে করাতে হয়, তা জানতে হবে, শিখতে হবে। প্রত্যেক নির্বাচন থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে আগামীতে ভাল করার চেষ্টা করতে হবে। দলে এসেছি, একটা পদ পেয়েছি, আসছি, যাচ্ছি, খাচ্ছি, ডেকেছে বলে যাচ্ছি, বিজেপি-তে এটা চলবে না। প্রধানমন্ত্রী থেকে তৃণমূলস্তরের কর্মী, সকলেই একটা আদর্শ নিয়ে চলেন। পরিবর্তনের জন্য যে লড়াই আমরা লড়ছি, তার শেষ লড়াইটা হবে পশ্চিমবঙ্গে। “
নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে দিলীপের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পর পর নির্বাচনে হারের পর এযাবৎ শাসকদল তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বকে। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পরও বাহিনীর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে কখনও, কখনও আবার নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। কিন্তু দিলীপ কাউকে দোষ দেওয়ার পরিবর্তে দলের অন্দরের খামতি, অভিজ্ঞতার অভাবের কথাই তুলে ধরলেন তিনি।
আরও দেখুন