নয়া দিল্লি: এ যেন ‘বিষবায়ু’ তুল্য! শ্বাস নিতে গেলেই দম বন্ধ হয়ে আসছে, এমনই পরিস্থিতি দিল্লিতে। ঘন ধোঁয়াশায় ঢেকে আছে গোটা রাজধানী! কম দৃশ্যমানতার কারণে ব্যাহত হচ্ছে ফ্লাইট চলাচলও। টানা ৬ দিন ধরে দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক (Air Quality Index) ৪০০-এর ওপরে। সেই সঙ্গে দাপট বৃদ্ধি করে ধোঁয়াশা।
কম দৃশ্যমানতার কারণে দেরিতে উড়েছে শতাধিক বিমান। ৩টি বিমানের শিডিউল বাতিলও করা হয়েছে। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া বাকি সমস্ত ক্লাসের পড়ুয়াদের অনলাইল ক্লাসের ঘোষণা করেছে আপ সরকার। সরকারি কর্মীদের আপাতত ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির বাতাসের গুণমান নির্ধারণের জন্য রাজধানী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে ৩৫টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। তার মধ্যে ২২টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে বাতাসের গুণমান সূচক ধরা পড়েছে ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে।
আরও পড়ুন, স্পর্শ করেনি ‘আবাস দুর্নীতি’, ‘আগে সবার বাড়ি হোক’, ভেঙে পড়া মাটির বাড়িতে দিন গুজরান TMC-র পঞ্চায়েত প্রধান!
বাতাসের গুণমান সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ৫১ থেকে ১০০ হলে তা ‘সন্তোষজনক’ বলে ধরা হয়। বাতাসের গুণমান সূচক ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘মাঝারি’ বলে ধরে নেওয়া হয়। গুণমান সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ হলে ‘খুব খারাপ’, ৪০১ থেকে ৪৫০ ‘ভয়ানক’ এবং ৪৫০-এর বেশি হলে ‘অতি ভয়ানক’ ধরে নেয়া হয়।
ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন চালকেরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (গ্র্যাপ-৩) চালু করেছে দিল্লি সরকার। যে এলাকায় বেশি যানবাহন চলে, সেখানে নিয়মিত জল ছেটানোর কাজও চলছে। দূষণ বৃদ্ধি করতে পারে এমন কাজের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
রাজধানীতে এই মুহূর্তে ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কোনও ধরনের নির্মাণ কাজ এই মুহূর্তে করা যাবে না। অক্টোবরের শেষের দিক থেকেই বায়ু দূষণের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে দিল্লিতে। দীপাবলির সময় ও তার পর দূষণের পরিমাণ মাত্রা ছাড়ায়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও দেখুন