# Tags
#Blog

জামিন পেলেন সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত

জামিন পেলেন সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্ত
Listen to this article


কলকাতা: সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তর (Kalatan Dasgupta) জামিন। অডিও-কাণ্ডে গ্রেফতারির ৫দিন পর হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর হল। কলতান দাশগুপ্তকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

জামিন পেলেন যুবনেতা: আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা যে ধর্না অবস্থান করছেন, সেখানে হামলার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, বৃহস্পতিবার তাঁকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দেওয়া হল রক্ষাকবচও। সেই সঙ্গে রাজ্য় সরকারের উদ্দেশে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ প্রশ্ন তুললেন, অডিও রেকর্ডিং পুলিশ কোথা থেকে পেল? গ্রেফতারির আগে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কী করে এই অডিও ক্লিপ হাতে পেলেন? তাঁর ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করেছে পুলিশ? যে সোর্স থেকে (অডিও) পেয়েছেন তার তথ্যানুসন্ধান করেছেন?

গত শুক্রবার একটি অডিও সামনে এনে তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্নায় হামলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। এই ঘটনায় প্রথমে কসবার হালতু থেকে সঞ্জীব দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তকে। এরপর DYFI নেতা কলতানকে বেআইনিভাবে গ্রেফতারের অভিযোগে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলায় এদিন  বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ জানতে চান, এই অডিও রেকর্ডিং পুলিশ কোথা থেকে পেল? উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আমাদের একজন সোর্সের থেকে পেয়েছি। বিচারপতি জানতে চান, গ্রেফতারির আগে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি কী করে এই অডিও ক্লিপ হাতে পেলেন? তাঁর ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ পুলিশ করেছে? যে সোর্স থেকে পেয়েছেন, তার তথ্যানুসন্ধান করেছেন? এখনও পর্যন্ত কণ্ঠস্বরের পরীক্ষা হয়নি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সবার আগে। এই দিকটাও তাহলে CBI খতিয়ে দেখুক। সঞ্জীব দাসের ক্ষেত্রে সব জামিনযোগ্য ধারা হলেও, কলতান দাশগুপ্তর ক্ষেত্রে কেন একটি জামিন অযোগ্য ধারা (বিভেদ তৈরির চেষ্টা) দেওয়া হল? তাহলে তো একই ধরনের অপরাধে একজন জামিন পাবেন এবং আরেকজন পাবেন না।

দু-পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর, DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্তর জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশনামায় উল্লেখ করেন, এই মামলায় পুলিশের তরফে যে সতর্কতা নেওয়ার দরকার ছিল। যে স্ক্রুটিনি করা দরকার ছিল সেটা পুলিশের তরফে করা হয়নি। পুলিশের এই ধরনের মনোভাবের ফলে এক ব্যক্তির সংবিধানিক অধিকার খর্ব হয়েছে।কলতান দাশগুপ্তর এর আগে অপরাধের কোনও পূর্ব ইতিহাস নেই। প্রমাণ নষ্ট করেছেন তারও প্রমাণ নেই। যেহেতু পুলিশ তাঁর বয়ান রেকর্ড করেছে এবং তাঁর মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাই এই মামলা বা অন্য কোনও মামলায় কলতান দাশগুপ্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সব মিলিয়ে সিপিএমের যুবনেতার গ্রেফতারি মামলাতেও অস্বস্তি বাড়ল রাজ্য সরকারের।

আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  

আরও পড়ুন: RG Kar News: আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়, CBI র‍্যাডারে তৃণমূল নেতা

আরও দেখুন



Source link

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Review Your Cart
0
Add Coupon Code
Subtotal