কলকাতা : একের পর এক ইস্যুতে জেরবার রাজ্য । আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তা বিরোধী দলগুলিকে কোনও ডিভিডেন্ট দেয় কি না তা বলবে সময়। তবে, চাকরি বাতিল থেকে ডিএ-মতো ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে বিরোধী দলগুলি। আরও একবার আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা বললেন, “এই সরকারের লালবাতি জ্বলে গেছে। আমি আগেও বলেছি, ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, আগামী দিনে ৩২ হাজার প্রাথমিক, OBC-র জট এবং সাথে সাথে DA দেওয়ার যে প্রাথমিক রায়, এই চারটি অস্ত্রে…চতুর্মুখী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পঙ্কিল পাঁকে আবর্ত হয়ে গেছে। এখান থেকে বেরনোর কোনও সুযোগ নেই।”
কোথায় দাঁড়িয়ে চাকরিহারাদের আন্দোলন ?
আগামীকাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারকে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছেন চাকরিহারারা। বিকাশ ভবনের সামনে আজ ধর্নার ১৯ তম দিন। হাইকোর্টের পরামর্শ মেনে প্রশাসনের তরফে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ছাউনি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। বিধাননগর পুরসভার তরফে গতকাল রাতেই বায়ো টয়লেট বসানো হয়। পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি হলে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারাও বিকাশ ভবন চত্বর ছেড়ে সেন্ট্রাল পার্কে ধর্নাস্থল সরিয়ে আনবেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি, চাকরিহারাদের হুঁশিয়ারি, প্রশাসনের তরফে আগামীকালের মধ্যে আলোচনায় না বসলে, বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। একইসঙ্গে এই ইস্যুতে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত সাংসদকে চিঠি দিচ্ছেন SSC ২০১৬-র চাকরিহারারা।
এই পরিস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে চাকরি ফেরতের দরবার। আজ সল্টলেকে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির বাড়িতে যান আন্দোলনকারী চাকরিহারারা। চাকরি বাঁচাতে গতকাল আইনজীবী ও সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর বাড়িতে যান তাঁরা। আইনজীবী তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর আইনত চাকরি ফেরত পাওয়া অসম্ভব। চাকরিহারাদের নতুন করে পরীক্ষা দিয়ে, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বৈঠকের পর অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওঁরা ভবিষ্যতের দিশা খুঁজে পেতে চাইছেন। তাতে আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন কি করা দরকার। কিন্তু এখন যা অবস্থা হয়ে আছে, তাতে সবই সুপ্রিম কোর্টের হাতে। সুপ্রিম কোর্টেরই ওঁদের যা বলার বলতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট সেটা শুনবে কি শুনবে না, সেটাও সুপ্রিম কোর্টই ঠিক করবে। কিন্তু, ওঁদের যেতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। আমি আশাবাদী থাকব, ওঁরা যদি সুপ্রিম কোর্টকে বুঝিয়ে বলতে পারেন… যে তাঁদের কোনও দোষ নেই এই ঘটনায়। অথচ তাঁরা হয়ে গেছেন শিকার। তাহলে সুপ্রিম কোর্ট ভাবতেও পারে।”
আরও দেখুন