জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পদত্যাগের পর কেটে গিয়েছে আরও চারদিন, তবে এখনও উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। কোথাও অগ্নিসংযোগ তো কোথাও ভাঙচুরের ঘটনা। এরই মাঝে নয়া সংযোজন ডাকাতি। গত কয়েকদিন রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় রাতে ডাকাতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। ডাকাত ঠেকাতে একত্র হয়ে স্থানীয় সাধারণ মানুষরা পাহারা দিচ্ছেন। এবার সেইরকম পাহারা দিতে রাস্তায় নেমেছেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন (Azmeri Haque Badhon)। বঁটি হাতে রাতে পাহারা দিয়েছেন অভিনেত্রী। এবার বাঁধনের পর রাত জাগা তারা রুকাইয়া জাহান চমক (Rukaiya Jahan Chamak)। তিনি ফেসবুকে বিস্ফোরক লাইভ করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় একের পর এক ডাকাতি, রাতে বঁটি হাতে রাস্তায় নামলেন বাঁধন…
গত বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরায় তাঁর বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। সেই কথা জানাতে রাতে ২ মিনিট ২০ সেকেন্ড ফেসবুক লাইভে ছিলেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। লাইভে এসেই প্রথমে চমক বলেন, ‘ক্যাপশন দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলব? আমি লিখেছি ‘আর কত নীচে নামবেন আপনারা ? আমি আমার লাইভে বলেছি, উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে! সেনাবাহিনী এসেছে এবং ডাকাতরা ধরাও পড়েছে। আমরা সেইফ। যদিও সেনাবাহিনী আসার আগেই আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দা-বঁটি নিয়ে ডাকাতদের রুখে দিয়েছি। আমরা সেনাবাহিনীর হট লাইনের নাম্বার পাচ্ছিলাম না। সম্ভবত লাইভ করার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মাথায় সেনাবাহিনী এসেছে। উই আর সেইফ নাও।‘কিন্তু লাইভের কমেন্টে আপনারা কি কমেন্ট করলেন, যে স্বাধীনতা এজনয় করো, স্বাধীনতার ফল এটা।’ আপনাদের একটা ইনফরমেশন দেই, যেসব ডাকাতরা ধরা পড়েছে, তারা স্বীকারক্তি দিয়েছে যে, তাদেরকে আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা ভাড়া করেছে ডাকাতি করার জন্য, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য।’
যারা যারা নির্লজ্জের মতো এখানে এসে কমেন্ট করেছেন যে, আপনাদের নেত্রী ভেগে গেসে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে। ছাত্ররা আন্দোলন করসে, ছাত্ররা এখন কোথায়, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে ডাকাতি করবে। এতো নিচে নামেন কিভাবে আপনারা? আপনারাই অরাজকতা তৈরি করতেছেন, আপনারাই হাসাহাসি করতেসেন, এগুলা কী? এটা তো আমাদের দেশ। ভাই, এতগুলো মানুষের জীবন নিয়ে কেন খেলতেছেন আপনারা? আপনাদের লজ্জা করেন না?প্রত্যেকেই আমাদের দেশের মানুষ। এগুলা সব আমাদের দেশের সম্পদ। আপনারা জাস্ট এগুলা নষ্ট করতেছেনন দল বিভেদ করার জন্য? দলীয় কোন্দল করা জন্য?’‘আজকে পুরো এলাকার প্রত্যেকটা মানুষ রাস্তায়। কেউই ঘুমাতে পারতেছে না। আমরা আগে থেকেই টহল দিচ্ছিলাম পুরো উত্তরাতে। আপনারা যারe হাসাহাসি করতেছেন, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেছেন। তাদেরকে বলি ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধের পরেও দেশের অবস্থা অনেক খারাপ ছিল। প্রশাসন এ্যাক্টিভ হতে, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে কন্ট্রোলে আনতে একটু সময় লাগে। এই ধরনের কথা না বলে, দেশে অরাজকতা তৈরি না করে, মানুষের জন্য থ্রেট না হয়ে, সবার একসাথে দেশের জন্য কাজ করেন। প্লিজ। অনেক হইসে। থামেন এবার।’
(চমক যেভাবে লিখেছেন, সেভাবেই তুলে ধরা হয়েছে)
বিভিন্ন এলাকায় পাহারা বসিয়ে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরও করেছে ছাত্র-জনতা। তবে এই সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত বুধবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকার ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরবর্তীতে তাদের সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বসিলা এলাকায়ও একই অবস্থা। কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র আটকের ঘটনাও ঘটেছে এই রাতে। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হয়। পাশাপাশি রাজধানীর অনেক এলাকায় রাতভর পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক ছাত্র-জনতা টহল দিয়েছে। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তল্লাশি চালানো হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)