NOW READING:
পদত্যাগ করলেও ক্ষমা চাওয়ায় ‘না’ অখিলের, বন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
August 5, 2024

পদত্যাগ করলেও ক্ষমা চাওয়ায় ‘না’ অখিলের, বন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

পদত্যাগ করলেও ক্ষমা চাওয়ায় ‘না’ অখিলের, বন আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Listen to this article


কলকাতা : মহিলা বন আধিকারিককে প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ায়, রবিবারই তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের চাপে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই মতো, সোমবার মন্ত্রিত্বের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন অখিল গিরি ( Akhil Giri ) । যদিও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেই বন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইতে নারাজ তিনি। সোমবারও বললেন, ‘ আমি কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইব না, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে পারি।’ 

তাজপুরে সমুদ্রের তীরে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। বন দফতরের বিরুদ্ধে দোকান ভেঙে ফেলার অভিযোগ তোলেন অখিল গিরি। শনিবার ঘটনাস্থলে যান তিনি। ছিলেন বন দফতরের কাঁথির রেঞ্জ অফিসার মনীষা সাউও। তখনই ওই সরকারি আধিকারিককে রীতিমতো হুমকি দেন অখিল।  জানোয়ার, বেয়াদপের মতো শব্দও ব্যবহার করতে দেখা যায় অখিলকে। এই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। 

কর্তব্যরত একজন সরকারি আধিকারিককে এভাবে হুমকি-হুঁশিয়ারি দেওয়ায়, অখিল গিরির পাশে দাঁড়ায়নি দল। রবিবার কড়া অবস্থান নিয়ে তাঁকে পদত্যাগ ও বন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে তিনি রবিবারই জানিয়ে দেন, পদত্যাগ তিনি করবেন, তবে ক্ষমা চাইবেন না। সোমবারও সেই অবস্থানেই রিলেন অনড়। উল্টে বন দফতরের কর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলেন তিনি। ‘ বন দফতরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা গ্রামবাসীরা বলেছে, যে দোকান বসানো হয়েছে,  দোকানদারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে। বনকর্মীরা টাকা নিয়েছে।’  

অখিল বলেন, ‘আমি নিজে জনপ্রতিনিধি হয়ে পরিস্থিতির সময় যে কথাটা আমি বলেছি, তার জন্য অনুতপ্ত, কিন্তু আমি ঘটনার জন্য কোনও অনুতপ্ত নয়।’ তিনি স্পষ্টই জানিয়ে দেন, ‘আমি কোনও আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাইব না, আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইতে পারি।’ 

কী ঘটেছিল 

সমুদ্র তীরবর্তী তাজপুরের এই এলাকা বন দফতরের অধীনে।  অভিযোগ, এই জায়গা দখল করে ব্য়বসা চালাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন ব্য়বসায়ী। বন দফতরের দাবি,গত ২ বছর ধরে বারবার নোটিস দেওয়া হলেও দখল করে রাখা জায়গা ছাড়েননি ব্য়বসায়ীরা। নোটিসের উত্তরও দিচ্ছিলেন না তারা। এমনকী ব্যবসায়ীরা যে জায়গায় বসছিলেন, বর্ষায় সমুদ্রের জল উপচে সেই জায়গা প্লাবিত হওয়ায়, অন্য় জায়গায় গাছ কেটে দোকান তৈরির চেষ্টা করছিলেন ব্য়বসায়ীরা। সেই দখলদারি রোখা নিয়েই বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান অখিল গিরি।  কাঁথি মহকুমা সার্কলের রেঞ্জ অফিসার মনীষা সাউ দখলদারি রুখতে গেলে তাঁকে শাসান তৃণমূল বিধায়ক। 

আরও পড়ুন :

বঙ্গবন্ধুর মূর্তিতে হাতুড়ির ঘা, হাসিনা দেশ ছাড়ার পরই ভাঙা শুরু মুজিবরের মূর্তি

 

আরও দেখুন



Source link