NOW READING:
Train Accident to Marriage: যে-ট্রেনের সামনে গলা দিয়ে মরতে গিয়েছিলেন, প্রেমে পড়লেন সেই ট্রেনচালকেরই, করলেন বিয়েও…
March 6, 2025

Train Accident to Marriage: যে-ট্রেনের সামনে গলা দিয়ে মরতে গিয়েছিলেন, প্রেমে পড়লেন সেই ট্রেনচালকেরই, করলেন বিয়েও…

Train Accident to Marriage: যে-ট্রেনের সামনে গলা দিয়ে মরতে গিয়েছিলেন, প্রেমে পড়লেন সেই ট্রেনচালকেরই, করলেন বিয়েও…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এ-জন্যই বলে জীবনের কাহিনি আসলে গল্পের চেয়েও গল্পের মতো। অবিশ্বাস্য। ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন! রেল লাইনে গলা দিতে গিয়েছিলেন। গলার বদলে দিয়ে ফেললেন মন! না, রেললাইনকে নয়, রেলচালককে। করলেন বিয়েও। অত্যাশ্চর্য! 

আরও পড়ুন: Cyclone Alfred: ১৯৭৪ সালের পরে এমন ঝড় আসেনি! ৪৫০০ বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই, উঠবে ৪০ ফুট ঢেউ! বন্ধ সব কিছু! ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়…

এমনই ঘটনা ঘটেছে পেশায় নার্স এক মহিলার জীবনে। শার্লট লে নামের বছর তেত্রিশের ওই তরুণী মানসিক অবসাদের ভুগছিলেন। ছুটন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু চালকের সতর্কতায় প্রাণে বেঁচে যান তিনি। কিন্তু বেঁচে উঠেই ‘মরেন’ তিনি। সেই ‘মৃত্যু’ অবশ্য প্রেমে। সেই প্রেম থেকে আর নিষ্কৃতি পাননি। প্রেমের টানে সেই ট্রেনচালকের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধও হন তরুণী।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News 

ইংল্যান্ডের ঘটনা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর। খবর বলছে, ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড রেল স্টেশনের কাছে আচমকাই রেল লাইনে উঠে পড়েন শার্লট। কিন্তু ট্রেনচালক ডেভ লে দারুণ তৎপর ছিলেন। সময়মতো ব্রেক কষেন তিনি। কোনও মতে প্রাণরক্ষা হয় তরুণীর। এর পর ডেভ নিজের ড্রাইভার্স সিট থেকে নেমে সরাসরি গিয়ে কথা বলেন শার্লটের সঙ্গে। প্রায় আধঘণ্টা কথা বলার পরে, শার্লট ট্রেনে উঠতে রাজি হন। এর পরের স্টেশনে তাঁকে নামিয়ে দেন চালক। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেন। অসাধারণ দায়িত্ববোধ!

এর পর ওই চালককে ধন্যবাদ জানাতে ফেসবুকে রেলচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শার্লট। সেখানেই পরস্পরের মধ্যে তৈরি হয় সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের পরিণতিতেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন দু’জন। 

আরও পড়ুন: Shani on Silver Feet: শনিদেব হাঁটছেন রুপোর পায়ে! সোনার সৌভাগ্যে জ্বলজ্বল করবেন এই রাশির জাতকেরা, বন্যার মতো আসবে টাকা…

শার্লটের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তিনি আগে থেকেই গুরুতর মানসিক চাপ, উদ্বেগের শিকার। ভুগছিলেন পিটিএসডি থেকে। কী এই পিটিএসডি? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ হল– ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসর্ডার’। সহজ ভাষায় বললে, কখনও কখনও মানুষ যখন বড় ধরনের কোনও মানসিক আঘাত বা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায় তখন তাঁদের মধ্যে কখনও কখনও এই রকম রোগ দেখা দেয়। এই রোগের প্রধান লক্ষণই হল, মাঝেমধ্যে নিজের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা পুরোপুরি ভুলে যাওয়া। শার্লটেরও তাই হত। হয়েছিলও ঘটনার দিনে। কিন্তু পরে তিনি সেই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। শুরু করেন নতুন জীবন।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link