জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুত্রবধূর হাতে খুন শাশুড়ি। এর পেছনে রয়েছে একাধিক চমকে দেওয়ার মতো কারণ। পুলিস খুঁজে বের করেছে, শাশুড়িকে খুনের পেছনে রয়েছে বউমার অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ও সম্পত্তির লোভ। সুশীলা দেবী নামে ওই মহিলার খুনের অপরাধে পুলিস গ্রেফতার করেছে পুজা নামে ওই গৃহবধূ ও তার বোন কমলাকে। পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে কমলার প্রেমিক অনিল ভার্মাকেও।
পুলিসের দাবি পুজা, কমলা ও তার প্রেমিক অনিল সুশীলা দেবীকে খুন করে ও তার বাড়ি থেকে ৮ লাখ টাকার গহনা লুট করে। ওই গহনা বিক্রির সময়ে পুলিস অনিলকে ধরে ফেলে পুলিস। পুলিসের দাবি, অনিল পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালায় পুলিস। তাকে ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
গত ২৪ জুন কুমারিয়া গ্রামে নিজের বাড়িতেই উদ্ধার হয় সুশীলা দেবীর মৃতদেহ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফরেন্সিক রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিস। ঝাঁসির পুলিস সুপার জ্ঞাণেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমে জানান, অভিযুক্তরা খুনের কথা স্বীকার করেছে। পুলিসের কাছে পুজা কবুল করেছে স্বামীর মৃত্যুর পরে সে তার দেওর কল্যাণ সিংয়ের সঙ্গে লিভ ইনে থাকতে শুরু করে। কল্য়াণ সিং মারা যান। তার মৃত্যুর পর পুজাকে তার পৈত্রিক বাড়ি কুমারিয়ায় নিয়ে চলে যান তাঁর শ্বশুর অজয় সিং। এখানে আরও এক সমস্যা। সেখানে সে তার বিবাহিত ছোট দেওর সন্তোষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ওই সম্পর্কের জেরে পুজার একটি সন্তানও হয়। এর জেরে সন্তোষকে ছেড়ে তার বাপের বাড়ি চলে যান তার স্ত্রী রাগিনী।
আরও পড়ুন-পাখি ‘মে*রে*ছে’ বলে ৯ নাবালককে হাত-পা বেঁধে বেদম মা*র, মা*রের চোটে ১ জন হাসপাতালে
আরও পড়ুন-‘স্কুলের অত্যাচারে’ মৃত্যু! হস্টেলে মিলল পড়ুয়ার ঝুলন্ত দে*হ! ভয়ংকর অভিযোগ ছাত্রের পরিবারের…
এদিকে, এর মধ্যেই পুজোর নজর গিয়ে পড়ে শ্বশুরের সম্পত্তির উপরে। ওই সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৬ বিঘা। ওই সম্পতির ৮ বিঘা বিক্রি করার জন্য শ্বশুরবাড়ির উপরে জোরাজুরি করতে থাকে পুজা। এতে রাজিও হয়ে যান সন্তাষ ও অজয়। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় সন্তোষের মা অর্থাত্ পুজোর শাশুড়ি সুশীলা। পুজা স্বীকার করেছে সম্পত্তি পাওয়ার লোভেই শাশুড়িকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে সে। শেষপর্য়ন্ত পুজা, কমলা ও অনিল খুন করে সুশীলাকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)