চণ্ডীগড়: ১৪ ওভারও হয়নি স্কোর ততক্ষণে ১৫০ পার করে গিয়েছে। দুরন্ত ছন্দে ব্য়াট করছেন সাই সুদর্শন এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। শতরানের পার্টনারশিপের দিকে অগ্রসর দুইজনে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এলিমিনেটরে (IPL Eliminator) ২২৯ রানের বিরাট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ ভাল জায়গায় গুজরাত টাইটান্স। ঠিক তখনই একটা সঠিক ইয়র্কার আঁছড়ে পড়ল স্টাম্পে। অর্ধশতরানের দোরগোড়ায় সাজঘরে ফিরলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। বোলারের নাম, অবশ্যই যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah)।
এই ঘটনার পরে পুরো ম্যাচের মোড়ই ঘুরে গেল। ১২ বল পড়েই সাজঘরে ফিরলেন সেট সাই সুদর্শন। এক সময় যেখানে জয়ের দিকে এগোচ্ছিল টাইটান্স, সেখানে ছত্রভঙ্গ হল তাঁদের ইনিংস। শেষমেশ ২০ রানে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে গেল টাইটান্স। ম্যাচের মোড় ঘোরাতে কিন্তু সেই তুরুপের তাস যশপ্রীত বুমরার উপরেই আস্থা রেখেছিলেন হার্দিক (Hardik Pandya) এবং তিনি বুম বুম হতাশও করলেন না। ম্যাচ শেষে নিজের তারকা বোলারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বুমরার মূল্য বুঝতে মুম্বইয়ের বাড়ির দরের তুলনা টেনে আনেন হার্দিক পাণ্ড্য। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা খুব সহজ। যখনই মনে হবে ম্যাচ হাত থেকে ফস্কে যাচ্ছে, তখনই বুমরার হাতে বল দিয়ে দাও। ওর থাকাটা আমাদের জন্য় বড় বিলাসিতা। ও অনেকটা মুম্বইয়ের বাড়িগুলির মতো, ওতটাই দামি। আমি স্কোরবোর্ডের দিকে দেখছিলাম আর মনে মনে হিসাব করছিলাম যে শেষের দিকে আমাদের হাতে রান থাকার দরকার। তাই বুমরার ওই সময়ে বোলিংয়ে আসাটা জরুরি ছিল।’
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২২৮/৫ স্কোর তোলার পর সকলে ধরেই নিয়েছিলেন যে, সহজ ম্যাচ হতে চলেছে। তার ওপর রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই যখন পিরে গেলেন শুভমন গিল, মাত্র ১ রান করে, মনে হয়েছিল, ম্যাচে একপেশে লড়াই হবে। তবে অন্যরকম কিছু ভেবেছিলেন সাই সুদর্শন। শুক্রবার আইপিএলের এলিমিনেটরে ৪৯ বলে ৮০ রান করলেন সুদর্শন।
হিট উইকেট হওয়ার আগে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কুশল মেন্ডিস ১০ বলে ২০ রান করে গেলেন। চার নম্বরে নেমে ওয়াশিংটন সুন্দর ২৪ বলে ৪৮ রান। তাও ২০৮/৬ স্কোরে আটকে গেল গুজরাত। ২০ রানে ম্য়াচ জিতে কোয়ালিফায়ার টুয়ে জায়গা করে নিল মুম্বই। সাড়া জাগিয়ে শুরু করেও খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে শুভমন গিলদের।
আরও দেখুন