শ্রীনগর: পর্যটকে ভরে উঠেছিল কাশ্মীর। এই মরশুমে ব্য়বসা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছিল। তখনই পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Terror Attack) এমন ভয়ঙ্কর হামলা। তারপর থেকে উপত্য়কা প্রায় পর্যটকশূন্য়। রুটি-রুজিতে টান পড়েছে স্থানীয় ব্য়বসায়ীদের। পর্যটকদের অপেক্ষায় দিন গুনছে ফাঁকা হোটেলগুলো।
ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ১ মাস। এপ্রিলের রক্তাক্ত ২২ তারিখ পেরিয়ে, ক্য়ালেন্ডারে আবার একটা ২২। ২২ মে। সেই অভিশপ্ত দিনের পর থেকে মিনি সুইৎজারল্য়ান্ড বলে পরিচিত বৈসরন উপত্য়কা পর্যটকহীন। যে রাস্তা ধরে পায়ে হেঁটে কিম্বা টাট্টু ঘোড়া চড়ে, পর্যটকরা উপত্য়কায় পৌঁছতেন তা নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পর্যটকের জন্য়, রাস্তার ওপর কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এখনও বৈসরন উপত্য়কা ও তার পার্শ্ববর্তী ঘন জঙ্গলে জঙ্গিদের খোঁজে চলছে সার্চ অপারেশন। এখন কাঁটাতার দিয়ে বৈসরন যাওয়ার রাস্তা পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুরো জঙ্গলে সেনার উপস্থিতি রয়েছে। সার্চ অপারেশনও চলছে। আতঙ্কবাদীরা এখনও ধরা পড়েনি। অপারেশন চলছে। CRPF এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে।
এপ্রিল থেকে জুন, কাশ্মীরে বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ সময়। এইসময়, পাহাড়ের বরফ গলে গিয়ে, উপত্য়কা সবুজ কচি কচি পাতা ও ফুলে ভরে ওঠে। টিউলিপ ফেস্টিভ্য়াল দেখতে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ভিড় করেন। বিগত বছরগুলোয় এই সময়টা পর্যটকদের ভিড়ে থিক থিক করত পহেলগাঁও। কাশ্মীরের ট্র্য়াডিশনাল হাতের কাজের দোকানগুলিও পর্যটকদের ভিড়ে গম গম করত। কিন্তু ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলার পর, ব্য়বসায় অন্ধকার নেমে এসেছে। পহেলগাঁওয়ের এক দোকান মালিক ইমতিয়াজ বলেন, “এটা ৭০ বছরের পুরনো দোকান। ভালই তো কাজ চলছিল। যেদিন পহেলগাঁও হামলা হল, তবে থেকে জিরো। কিচ্ছু হচ্ছে না। সবাই বসে আছে। সব দোকানদার বসে রয়েছে। হোটেলওয়ালা, ট্য়াক্সিওয়ালা, ঘোড়াওয়ালা, সবাই বসে আছে। কিচ্ছু নেই। এইবছর আগের বছরের থেকেও বেশি পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু এই হামলার পর সব জিরো হয়ে গেল।”
যে পহেলগাঁওয় পর্যটনের ওপর দাঁড়িয়ে, সেই পহেলগাঁও আজ প্রায় পর্যটক শূন্য়। পর্যটকদের অপেক্ষায় দিন গুনছে হোটেলগুলো। স্ট্য়ান্ডে সার দিয়ে অপেক্ষা করছেন ট্য়াক্সিওয়ালারা। রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গেছে টাট্টুওয়ালাদের। ওই এলাকার এক নওয়াজ বলছেন, “২২ তারিখ হয়েছিল হামলা। তার আগে ১ মাস ধরে খুব ভালো ব্য়বসা চলছিল। ২২ তারিখের পর, পুরো জিরো। কিচ্ছু নেই। আগের বছর ভাল কাজ হয়েছে। দেখছেন, বাইরের যে ট্য়াক্সিওয়ালা, হোটেল আছে, প্রচুর দোকান আছে, সব দোকানই বন্ধ। আমরা বসে আছি, কারণ, দোকানে প্রচুর জিনিস আছে। যাতে খারাপ না হয়ে যায়। তাই বসে আছি।
আরও দেখুন