NOW READING:
‘জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস’ খেলে অধিনায়ক বাভুমার লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় মারক্রাম
June 14, 2025

‘জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস’ খেলে অধিনায়ক বাভুমার লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় মারক্রাম

‘জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস’ খেলে অধিনায়ক বাভুমার লড়াকু মানসিকতার প্রশংসায় মারক্রাম
Listen to this article


লন্ডন: প্রথম ইনিংসে তাঁর ভাঁড়ারে ছিল শূন্য রান। তবে বিশ্বজয় করার জন্য ২৮২ রান তাড়া করতে নেমে এইডেন মারক্রাম (Aiden Markram) এমন এক ইনিংস খেললেন যা দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বড় রান তাড়া করতে নেমে ওপেনারদের ভালভাবে শুরু করাটা জরুরি। রায়ান রিকেলটন মাত্র নয় রানে আউট হওয়ায় তেমনটা হয়নি। তবে মারক্রাম খেললেন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের (WTC Final 2025) চতুর্থ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এল ১৩৬ রান। ম্যাচে দুই উইকেটেও নেন তিনি। এই পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকেই ম্য়াচ সেরা ঘোষণা করা হয়।

মারক্রামের মতে এই ইনিংসের রানই তাঁর কেরিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক জয়ের পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার হাতে তিনি বলেন, ‘জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস এটা। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর এই ইনিংসটা কিন্তু বেশ অদ্ভুত। ওই ইনিংসের পর ক্রিজে খানিকটা সময় কাটিয়ে রান করার প্রয়োজন ছিল, খানিকটা ভাগ্যেরও দরকার ছিব বটে, সবটা পরিকল্পনা মাফিকই হয়েছে বলে ভাল লাগছে। লর্ডসে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে সব ক্রিকেটাররাই চায়। এমন এক জায়গায় আমাদের সমর্থনে অনেক দক্ষিণ আফ্রিকান এসেছিলেন, অনেকে দেশে আমাদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছিলেন। আজকের এই দিনটা বিশেষ অনুভূতির।’

 

 

অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার সঙ্গে মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৪৭ রান যোগ করেন মারক্রাম। এই ইনিংসই ম্যাচে প্রোটিয়াদের জয় কার্যত নিশ্চিত করে। বাভুমা কার্যত খোড়াতে খোড়াতেও ব্যাটিং চালিয়ে যান। চোট নিয়েও তেম্বার এই ইনিংসের জন্য তাঁর সাহসিকতারই প্রশংসা করেন মারক্রাম। ‘সত্যি বলতে ও নিজেই খেলা চালিয়ে যেতে চাইছিল। একদম সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বলতে যা বোঝায়, বিগত দুই, তিন বছরে ও আমাদের হয়ে ঠিক সেটাই করেছে। ও কাল মাঠ ছাড়তে চাইছিল না। ওই পরিস্থিতিতেও রান করার পথ খুঁজে বের করে এমন এক ইনিংস খেলল যেটা সকলের অনেকদিন মনে থাকবে।’

মারক্রামের হাত ধরে ২০১৪ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ম্যাচে অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ১১ বছর পর ফের তাঁর দুরন্ত ইনিংসে ভর করেই খেতাব জিতল রামধনুর দেশ। 





Source link