জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জেলে যাওয়ার পর তাঁর কথা তৃণমূল নেতারা আর খুব বেশি মুখে আনেন না। তবে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথা টেনে আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-গভীর সমুদ্রে যাওয়া নিষেধ! রবিবেলা জুড়ে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা; বর্ষণ কতটা ভয়াবহ হবে?

ধর্মতলায় একুশের সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসএসসি বা টেট কেলেঙ্কারিতে যদি পার্থ চ্যাটির্জির বাড়িতে রেইড করে ইডি, তাঁকে গ্রেফতার করে তাহলে স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারিক নিট কেলেঙ্কারি। নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। তাহলে ইডি কেন ধর্মেন্দ্র প্রধানের বাড়িতে রেইড করে তাকে গ্রেফতার করবে না? কেন এই রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ? কেন এই দ্বিচারিতা। এবার তো আমরা ২৯ আসনে দিতেছি। আরও তিনটি আসনে হেরেছি খুব কম ব্যবধানে। শুনলে আপনাদের গর্ব হবে রাজ্যসভা ও লোকসভা মেলালে আমরা ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম দল। যারা বলেছিল তৃণমূলকে জেলে ঢুকিয়ে দেব, হাওয়া করে দেব তারাই আজ সাফ হয়ে গিয়েছে। মানুষের মুখের ভাষা বুঝি। যারা এই সভায় আসে তারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকার জন্য আসেন। আমাকে যদি মাথা নত করতে হয়ে তাহলে বিজেপি কাছে করব না। মানুষের কাছে মাথা নত করব। তৃণমূল কংগ্রেস বিশুদ্ধ লোহা। গলা কেটে দেব তবুও মাথা নত করব না, জয় বাংলা বলব। শপথ নিয়েছিলাম যারা বাংলাদকে ভাতে মারার চেষ্টা করেছে তাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব। তৃণমূলের কর্মীরাই তৃণমূলের শক্তি।

অভিষেক বলেন, আমার মানুষকে বলেছিলাম আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। কোনও স্বৈরতান্ত্রিক শক্তিতে বিশ্বাস করি না। জনগনের শক্তি কী তা গত ৪ জুন মানুষ দেখিয়েছে। মানুষের ভালোবাসাকে বুকে রেখে আমাদের আরও বিনয়ী হতে হবে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। ২০১৫ সালে সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছিলে ভাগ মমতা ভাগ। আজ বিজেপিকে বাংলা থেকে ভাগিয়েছে বাংলার মানুষ। গোটা দেশে মানুষ এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অখিলশ যাদব উজ্জবল। তারা দুজনেই সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন। আমি বলেছিলাম বুক চিতিয়ে লডুন বাকীটা আমরা বুঝে নেব। কেন্দ্র আমাদের একশো দিনের টাকা বন্ধ করেছে, রাস্তা, জলের টাকা বন্ধ করেছে। আর মানুষ তাদের ভবিষ্যত অন্ধকার করে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।

অভিষেক আরও বলেন, বিজেপি বলেছিল তৃণমূলকে কীভাবে টাইট দিতে হয় তা আমরা জানি। ইডি আর সিবিআইয়ের হাতে যে স্ক্ু ডাইভার আছে তার থেকে মানুষের হাতের স্ক্ুব ড্রাইভারের শক্তি অনেক বেশি। যারা বলেছিব ইস বার দো শো পার তাদের কী হাল হয়েছে দেখুন। বিজেপির কাছে, ইডি, সিবিআই আছে, সংবাদমাধ্য়ম আছে, বিচারব্য়বস্থার একাংশ আছে। আর তৃণমূলের কাছে আছে জনতা জনার্দন। এসো জনতার দরবার লড়াই হোক। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এরা তৃণমূলকে জব্দ করতে গিয়ে নিজেদের সর্বনাশ করেছে। ভোটের আগে এরা সন্দেশখালি সন্দেশখালি বলে গলা ফাটিয়েছিল। আর লোকসভা ভোটে কী দেখা গেল? ভোটের পর ৫০ দিন পার হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি যে লোকসভার অধীনে সেই বসিরবহাট লোকসভা আসেন ৩ লাখেরও বেশি ব্যবধানে তৃণমূল জিতেছে। আমাকে যার ডায়মন্ডহারবার থেকে নির্বাচন করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। ডায়মান্ডহারবার থেকে ৭ লাখেরও বেশি ভোটে মানুষ আমাদের জিতিয়েছে। আমাদের এবার ২০২৬ সালের বিধানসভার জন্য তৈরি হতে হবে। পঞ্চায়েতে যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদের মানুষের কথা ভাবতে হবে। আমি মনে করি তৃণমূলের কর্মীদের আরএও শৃঙ্খলাপূর্ণ হতে হবে।  যাকা তৃণমূলে এসেছেন তাদের তৃণমূলের লড়াই,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের সংগ্রমকে জানতে হবে। কর্মীদের সংযত হবে হবে। মানুষ আপনাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছে। বিজেপিকে বিশ্বাস করেনি। সন্জেশখালিতে যেভাবে বাংলাকে গোটে দেশের কাছে কলুষিত করেছিল তা সফল হয়নি। বিজেপি নেতারাই বলছেন ভোটের দিন একটা বুথে মদ খাওয়ার খরচ ৫ হাজার চটাকা। তাহেলে ৮০ হাজার বুথে কত টাকা খরচ?

iframe allow=”accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture” allowfullscreen=”” frameborder=”0″ height=”350″ src=https://zeenews.india.com/bengali/live-tv/embed?autoplay=1&mute=1 width=”100%”>

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Shares:
Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *