NOW READING:
Who Was Shefali Jariwala: কেরিয়ায়-সম্পত্তি-সম্পর্ক! শেফালির মৃত্যুর পর হাড়হিম তথ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই…
June 28, 2025

Who Was Shefali Jariwala: কেরিয়ায়-সম্পত্তি-সম্পর্ক! শেফালির মৃত্যুর পর হাড়হিম তথ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই…

Who Was Shefali Jariwala: কেরিয়ায়-সম্পত্তি-সম্পর্ক! শেফালির মৃত্যুর পর হাড়হিম তথ্য, মাত্র ১৫ বছর বয়সেই…
Listen to this article


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কোভিডের (COVID-19) সময়ে প্রিয়জনদের হারিয়ে, মানুষ ভীষণ ভাবে উপলব্ধি করেছিল যে, মৃত্যু বড়ই অনিশ্চিত। সম্প্রতি আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Ahmedabad Plane Crash) পর আবারও সেই লব্জ মানুষের মুখে ঘুরছে। গতকাল অর্থাত্‍ শুক্রবার রাতে আবারও এমন এক খবর এসেছে, যা বিহ্বল করেছে। মাত্র ৪২-এ প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা (Shefali Jariwala)! জানা যাচ্ছে হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে ‘কাঁটা লাগা’ স্টারের। এই প্রতিবেদনে রইল শেফালির জীবনের এ-টু-জেড। কথা হবে তাঁর কেরিয়ায়-সম্পত্তি-সম্পর্ক নিয়ে। 

কে ছিলেন শেফালি জারিওয়ালা: সাল ২০০২, প্রথমবার ভারতীয় দর্শক চিনেছিল শেফালি জারিওয়ালাকে। ১৯৭২ সালের সিনেমা ‘সমাধি’র সুপারহিট গান ছিল-‘কাঁটা লাগা। যা গেয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর, মিউজিক ছিল আরডি বর্মণের। ৩০ বছর পর ‘কাঁটা লাগা’-র রিমিক্স করেছিলেন ডিজে ডল। রিমিক্সও দুরন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। ‘কাঁটা লাগা’ হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় সঙ্গীতের পপ সংস্কৃতির সেনসেশন। ‘কাঁটা লাগা’য় সুনামি নিয়ে এসেছিলেন শেফালি। সেই সময় শেফালির লুকস থেকে অভিব্যক্তি, বুকের ট্যাটু নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়েছিল। সমালোচনাও কম হয়নি। 

আরও পড়ুন:  মাত্র ১৫ বছর থেকেই ভয়ংকর রোগ, ‘কাঁটা লাগা’র পর সেভাবে কাজই করতে পারেননি…

শেফালির বলিউডে পা: ‘কাঁটা লাগা’র পর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি সতীশ-সুনীতার মেয়ে শেফালিকে। ১৯৮২ সালের ১৫ ডিসেম্বর আমদবাদে জন্মান শেফালি। রয়েছে বড় দিদিও। জনপ্রিয়তার শৃঙ্গ আরোহণ করেও হঠাৎই যেন শেফালি অন্তরালের অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছিলেন। অথচ তাঁর বায়োডেটায় রয়েছে ৩৫টি মিউজিক ভিডিয়োতে কাজ করার অভিজ্ঞতা। ‘কাঁটা লাগা’র জোয়ারে ভেসে ২০০৪ সালেই বলিউডে পা রেখে ফেলেছিলেন শেফালি।  সলমান খান-প্রিয়াঙ্কা চোপড়া-অক্ষয় কুমারের সুপারহিট সিনেমা ‘মুঝসে শাদি করোগে’-তে ক্যামিও-র চরিত্রে ছিলেন শেফালি। এছাড়াও শেফালিকে রিয়ালিটি শো ‘নাচ বলিয়ে’র সিজন ফাইভ এবং সিক্সে স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে শেফালি ছিলেন ‘বিগ বস ১৩’-এর ঘরেও। অলট বালাজির ওয়েব সিরিজ ‘বেবি কাম না’-তে তিনি ছিলেন শ্রেয়স তালপাড়ের বিপরীতে। 

শেফালি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারও: পর্দার খ্যাতির আড়ালে কোথাও হারিয়ে গিয়েছে শেফালির পড়াশোনার দিকটা। প্রচুর পড়াশোনা করতেন। গুজরাতের প্রসিদ্ধ প্রতিষ্ঠান সর্দার প্যাটেল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সৌন্দর্য এবং মস্তিষ্কের মেলবন্ধনের সত্যিকারের উদাহরণ ছিলেন শেফালি। 

শেফালির বিবাহিত জীবন: শেফালি দু’বার বিয়ে করেছিলেন। ২০০৪ সালে মিউজিসিয়ান হরমীত সিংকে বিয়ে করেছিলেন শেফালি। হরমিত পরিচিত বলিউড ডায়নামিক জুটি ‘মিট ব্রোস ডুয়ো’র কারণে। ২০০৯ সালে হরমিতের বিরুদ্ধে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচারের অভিযোগ এনেছিলেন শেফালি। তারপর এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর শেফালির জীবনে আসেন পরাগ ত্যাগী। চার বছর ডেট করার পর ২০১৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন পরাগ-শেফালি। বিগত ১০ বছর একসঙ্গে ছিলেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: মাত্র ৪২-এই থামল জীবন! আচমকাই প্রয়াত ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল শেফালি…

মৃগীর সঙ্গে লড়াই: বলিউডের জাঁকজমক এবং গ্ল্যামারের মধ্যেও শেফালি কিন্তু ছিলেন দুরন্ত ফিট। সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন। তিনি ছিলেন ফিটনেসের উদাহরণ। যদিও শেফালি গোপনে মৃগীরোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। কেরিয়ারের প্রথম দিকে যা তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন এবং দীর্ঘমেয়াদী সাহসের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। তার কেরিয়ারের পরবর্তী সময়ে শেফালি জানান যে,  মাত্র ১৫ বছর বয়সেই প্রথম খিঁচুনির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। এই কারণেই চাপ এবং দুশ্চিন্তা তাঁকে গ্রাস করে নিয়েছিল। তবে নিয়মিত ব্যায়ামের করে শরীর ঠিক রেখেছিলেন শেফালি।  

শেফালির মোট সম্পত্তি: সম্প্রতি বেশ কিছু মিডিয়ার রিপোর্ট বলছে যে, শেফালি প্রায় ১০ লক্ষ ডলারের ( ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭.৫ কোটি টাকা) মালকিন ছিলেন। তবে নিশ্চিত ভাবে শেফালির মোট সম্পত্তির পরিমাণের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য আসেনি…

আরও পড়ুন:  হাসপাতালে নয়, বাড়িতেই মারা যান শেফালি! ‘কাঁটা লাগা’ গার্লের মৃত্যু নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link