Donald Trump : ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের (India Pakistan Conflict) পর থেকেই বদলে যাচ্ছিল আমেরিকার সঙ্গে নয়াদিল্লির (India US Relation) কূটনৈতিক সমীকরণ। ‘বন্ধু ট্রাম্প’ (Donald Trump) অনেকাংশেই ভারতের জন্য শ্ত্রুর ভূমিকায় ধরা দিচ্ছিলেন। আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনে বড় ধাক্কা দিয়েছিল সাম্প্রতিক একটি খবর। যেখানে বলা হয়েছিল, ১৪ জুন ওয়াশিংটনের সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান (Pakistan Army Chief) আসিম মুনিরকে। যদিও এবার সেই খবর অস্বীকার করল আমেরিকা।
মুনিরকে আমন্ত্রণ নিয়ে কী বলেছে আমেরিকা
হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সামরিক প্রধান অসীম মুনিরকে শনিবার ওয়াশিংটন সামরিক কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই। কোনও বিদেশি সামরিক নেতাকে ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
কেন আমেরিকার এই প্রদর্শনীর এত গুরুত্ব
শনিবারের কুচকাওয়াজকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক প্রদর্শনীগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা প্রদর্শনের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করা হয় এই প্রদর্শনীকে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার মাঝে মার্কিন সামরিক শক্তি দেখানোর ভাল সুযোগ ছিল এই প্রদর্শনী। এতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী ভাবমূর্তি আরও প্রতিফলিত হত।
কী কারণে এই কুচকাওয়াজ
মার্কিন সেনা বাহিনীর ইতিহাস বলছে, স্বাধীনতা অর্জনের এক বছর আগে ১৪ জুন, ১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মার্কিন সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার স্মরণে এই কুচকাওয়াজ হয়। কাকতালীয়ভাবে ওই তারিখেই ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মদিন ছিল।
শেষবার কবে এই ধরনের প্রদর্শনী
শেষবার ওয়াশিংটন সামরিক এই ধরনের প্রদর্শনী দেখেছিল ১৯৯১ সালে । সেই সময় কুয়েতকে মুক্ত করার জন্য প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধে ইরাককে পরাজিত করে আমেরিকা। এরপরই জাতীয় বিজয় উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম নামেও পরিচিত।
আগে কী খবর এসেছিল পাক সেনাপ্রধানকে নিয়ে
ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তানি দূতাবাসের সূত্র অনুসারে, মুনির ১২ জুন আমেরিকার কুচকাওয়াজে আমন্ত্রণ গ্রহণ করে পৌঁছাবেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। পহেলগাঁও হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারত যখন গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসে পাক মদতের কথা তুলে ধরছে, তখন এই খবর দিল্লির জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যা নিয়ে মোদি সরকারকে একহাত নিয়েছিল কংগ্রেস। পাক সেনাপ্রধানকে আমেরিকার সামরিক কুজকাওয়াজে আমন্ত্রণ ভারতের কূটনীতির জন্য বড় ধাক্কা বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। যদিও আমেরিকার তরফে আমন্ত্রণের কথা অস্বীকার করায় এখন অনেকটাই স্বস্তিতে থাকবে নয়াদিল্লি।