জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার থেকেই গোটা দেশে এক অব্যবস্থায় সৃষ্টি হয়। শেষপর্যন্ত ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার স্থাপনের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হল হাসিনা সরতেই দেশের ৫২ জেলার হিন্দুদের উপরে হামলা শুরু হয়েছে। এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন মহম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন-তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে কে, জানিয়ে দিলেন হাসিনা
দেশে হিন্দুদের উপরে হামলার প্রতিবাদের ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিশাল সমাবেশ করে বিক্ষোভ দেখায় হিন্দুরা। তাদের দাবি হাসিনার পতনের পর দেশের ৫২ জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকশো সংখ্যালঘু মানুষ আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে তাদের ঘরবাড়ি। আওয়ামি লিগের ২ নেতা যারা ধর্ম বিশ্বাসে হিন্দু তাদের খুন করা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে দেশের বহু মন্দিরে। এমনটাই অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।
শনিবার ঢাকার শাহবাগে আন্দোলনে নামে বহু হিন্দু সংগঠন। প্রায় তিন ঘণ্টা তারা রাস্তা অচল করে রাখেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সংসদে অন্তত ১০ শতাংশ আসন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে, সংখ্যালঘুদের উপরে হামলায় বিচারে একটি পৃথক ট্রাইবুন্যাল তৈরি করতে হবে। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আইন কার্যকর করতে হবে। এনিয়ে চট্টোগ্রামেও একটি বিশাল সমাবেশ করে সংখ্যালঘুরা। কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ ওই দুই বিক্ষোভে সামিল হন।
এনিয়ে কী বললেন মহম্মদ ইউনূস? বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ইউনূস সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনাকে অত্যন্ত নক্কারজনক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা কি দেশের মানুষ নন? গোটা দেশটাকে আপনারা বাঁচাতে পারলেন, আর আপনারা কয়েকটা পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন না? ওরা আমাদের ভাই। আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি। আমরা একসঙ্গেই থাকব।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)