সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: মালদার ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এবার উত্তর দিনাজপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করল হবিবপুর থানার পুলিশ।মালদার ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত ৩ জেলা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত সাবির আলম ইসলামপুরের কাজীবস্তির বাসিন্দা অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়েছিল সাবির। বিষয়টি তার স্ত্রী ও বাবাও স্বীকার করে নিয়েছেন। এর আগে মালদার ট্যাব-প্রতারণাকাণ্ডে বৈষ্ণবনগর থেকে পেশায় কৃষক সেরাজুল মিঞাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর কোচবিহারের দিনহাটা থেকে গ্রেফতার হন সিতাইয়ের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মনোজিৎ বর্মন। এবার ইসলামপুর থেকে আরও একজন মালদা জেলার পুলিশের জালে। মালদার ট্যাব কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত ৩ জেলা থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একদিকে যখন আরজিকর কাণ্ডের পর প্রশ্নের মুখে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নিয়োগ দুর্নীতির পর শিক্ষাক্ষেত্রে ফিরল ট্যাব কেলেঙ্কারি। একটু আধটু নয়, জেলায় জেলায় ট্যাবের টাকা পড়ুয়া পায়নি বলে অভিযোগ। টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে ! এবার ধরা পড়ল অভিযুক্ত। মালদায় গ্রেফতার শিক্ষক !
মালদায় ধৃত ৫জনের মধ্যে স্কুলের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক! ভগবানপুর KBS স্কুলের শিক্ষক রকি শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি বৈষ্ণবনগরের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয়েছে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। সূত্র মারফত খবর, ১২ ঘণ্টা ধরে জেরার পরে গ্রেফতার, পেন ড্রাইভ, হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলের ইউজার আইডি পাচার করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ট্য়াব কেনার জন্য় সরকারি টাকা ঢোকার কথা পড়ুয়াদের অ্য়াকাউন্টে। কিন্তু কোথাও সেই টাকা গায়েব হয়ে যাচ্ছে! কোথাও আবার সেই টাকা ঢুকছে ভিনরাজ্য়ের অ্য়াকাউন্টে! ঘটনায় একাধিক জায়গা থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোথাও ‘ট্য়াব’ কেনার জন্য় রাজ্য় সরকারের দেওয়া টাকা একজনের বদলে অন্যের অ্য়াকাউন্টে চলে গেছে! কোথাও বাংলার সরকারি প্রকল্পের টাকা সরাসরি পড়ছে ভিনরাজ্য়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তো কোথাও তো আবার একজনের অ্যাকাউন্টেই টাকা পড়েছে দু’বার। একের পর এক আজব অদ্ভূতুড়ে ঘটনা। আর তাতেই আতান্তরে ভবিষ্যৎ। এ যেন ‘তরুণের স্বপ্ন চুরি’! তরুণদের স্বপ্নভঙ্গ।
আরও পড়ুন, পুলিশের সমালোচনায় সৌগত রায়, পাল্টা মদন, ‘তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে দিয়ে বাজার করানো হয়..’ !
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে পূর্ব বর্ধমান,মালদা থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ থেকে পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম। ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে তালিকা। জেলার গণ্ডি ছাড়িয়ে কলকাতাতেও উঠছে এই অভিযোগ। রাজ্য় সরকারের দেওয়া ট্য়াবের টাকা ঘিরে দিকে চরম জালিয়াতি! কেলেঙ্কারি। পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-অভিভাবক চওড়া হচ্ছে কপালের চিন্তার ভাঁজ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন