কলকাতা: হাইকোর্টের ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই পদত্যাগ করলেন মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার। আজ বিকেল ৫টার মধ্য়ে ইস্তফার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এমনকী ইস্তফা না করলে, পদ থেকে সরানোর নির্দেশিকা জারি করতে বলেছিল হাইকোর্ট। নির্ধারিত সময়ের আগেই সভাপতির কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেন মানস চক্রবর্তী।
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে মানস চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হয়। কাউন্সিলকে অন্ধকারে রেখে অবৈধভাবে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ মানস চক্রবর্তীকে অবৈধভাবে রেজিস্ট্রার পদে পুনর্নিয়োগ করে আসছেন কাউন্সিলের সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়। যার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রারকে স্বেচ্ছায় পদত্য়াগ করার পরামর্শ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। পদত্য়াগ না করলে, তাঁকে ওই পদ থেকে সরানোর নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। সময়সীমার আগে পদত্যাগ করলেন মানস চক্রবর্তী। মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে ইস্তফার পর মানস চক্রবর্তী জানান, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই সভাপতির কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
গত বছরের ২০ নভেম্বর মানস চক্রবর্তীকে রাজ্য় মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদ থেকে অবিলম্বে সরানোর নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্যভবন। কাউন্সিলকে দেওয়া চিঠিতে, স্বাস্থ্য দফতরের সিনিয়র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি লেখেন, রাজ্য সরকারের নজরে এসেছে যে, সরকারের অনুমতি না নিয়ে মানস চক্রবর্তীকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে পুনর্নিয়োগ করা হয়েছে। যা আইনের পরিপন্থী। রাজ্য সরকারের নির্দেশ, অবিলম্বে নিয়োগ বিধি মেনে নতুন রেজিস্ট্রার নিয়োগ করতে হবে। তারপরও নিজের পদে রয়েছেন রেজিস্ট্রার। এর মধ্য়ে, মেডিক্যাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার পদে, মানস চক্রবর্তীর এই বহাল থাকাকে অবৈধ বলে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। তার প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অবসরের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও রেজিস্ট্রারকে ওই পদে রেখে দেওয়া হয়েছে। ওই পদে থাকার কোনও অধিকার রেজিস্ট্রারের নেই। এরপরই পদত্যাগের পরামর্শ দিয়ে সময়সীমাও বেঁধে দেন তিনি। পদত্যাগ না করলে পদ থেকে সরানোর নির্দেশিকা জারি করতে বলে আদালত। তার আগেই এদিন পদত্যাগ করলেন মানস চক্রবর্তী।
এদিকে আর্থিক অনিয়ম নিয়ে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলে কার্যত গৃহযুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। কাউন্সিলের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন মেডিকেল কাউন্সিলেরই সদস্য কৌশিক বিশ্বাস। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া, শুধুমাত্র কাউন্সিলের নিজস্ব সিদ্ধান্তে বিলি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: Narayan Goswami: নারায়ণ গোস্বামীর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান তৃণমূলের, শোকজের জবাব দিলেন বিধায়ক
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours