মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই R G Kar মামলা নিয়ে এই পদক্ষেপ রাজ্যের
![মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই R G Kar মামলা নিয়ে এই পদক্ষেপ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই R G Kar মামলা নিয়ে এই পদক্ষেপ রাজ্যের](https://i3.wp.com/feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2025/01/21/85f1f9254267726cbd11c34d455070b51737437908173170_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&w=991&resize=991,564&ssl=1)
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই মর্মে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানালেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। দোষী সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য আইনি উপদেষ্টা এবং পরামর্শদাতা বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বলা হয়েছে, আর জি কর মামলায় নিম্ন আদালতের তরফে গতকাল যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাকে তারা চ্যালেঞ্জ করছে। তারা সর্বোচ্চ সাজা অর্থাৎ ফাঁসির জন্য আবেদন করছে। সমস্ত কিছু শোনার পরে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে, তারপরেই এই মামলার বিচারপর্ব কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হবে।
আর জি কর মেডিক্যালে, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। বিচারক জানান, এই ঘটনাকে বিরলের মধ্য়ে বিরলতম বলে মনে করছেন না তিনি।
রায় ঘোষণার পরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি সন্তুষ্ট নন। আর সন্ধেয় সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে আদালত বিরলের মধ্যে বিরলতম বলল না। এটা দেখে আমি স্তম্ভিত। আমি নিশ্চিত যে এটি সত্যিই একটি বিরলতম ঘটনা, যার জন্য় মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। কী ভাবে বিচার শেষে একে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে মনে করা হল না ? আমরা এই জঘন্য ও সংবেদনশীল ঘটনার মামলায় মৃত্যুদণ্ড চাই।
কিন্তু মুখ্য়মন্ত্রীর এই অবস্থানের সঙ্গে মোটেও সহমত নয় নিহত চিকিৎকের মা-বাবার।
সূত্রের খবর, সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে ঘনিষ্ঠমহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ঘটনার প্রথম দিন থেকে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ধর্ষকদের সমাজে কোনও স্থান নেই – যদি পারিপার্শ্বিক প্রমাণ তাদের বিরুদ্ধে থাকে তবে মৃত্যুদণ্ডই তাদের একমাত্র সমাধান। তাদের জেলে রেখে করদাতার টাকা নষ্ট করার কোনও মানে হয় না। সঞ্জয় রায়ের মতো ধর্ষকদের জন্য অর্থ অপচয় বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সাম্প্রতিক অতীতে, আমরা এমন ঘটনা দেখেছি যেখানে কলকাতা পুলিশ বা রাজ্য পুলিশের অফিসাররা প্রশংসনীয় কাজ করেছেন এবং এক বা দু’মাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী মামলা উপস্থাপন করেছেন যাতে অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যা আমরা আর জি কর বিষয়ে দেখেছি ঠিক উল্টো।
আরও দেখুন