কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন শুভঙ্কর সরকার। অধীর চৌধুরীর জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন শুভঙ্কর সরকার।
অধীরের জায়গায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হলেন শুভঙ্কর
প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হলেন শুভঙ্কর সরকার। প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীর জায়গায় তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হল। শনিবার রাতে এআইসিসি-র তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়।সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সম্পাদক ছিলেন শুভঙ্কর সরকার। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেই পদ থেকে অব্য়াহতি দেওয়া হল। লোকসভা ভোটে বহরমপুরে হারের পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস পদ ছেড়ে দিতে চাইছিলেন অধীর চৌধুরী। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনে অধীর চৌধুরীর ভূমিকার প্রশংসা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল।
আমি খুব ছোট্ট একজন কর্মী: শুভঙ্কর সরকার
শুভঙ্কর সরকার বলেছেন, ‘আমি খুব ছোট্ট একজন কর্মী। সেই কর্মীকে যে দিল্লি, AICC নেতৃবর্গ, কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি খাড়গে, রাহুল এবং বেণুগোপালজি এরা যে দায়িত্ব দিয়েছে, আমি মনে করি, আমি নই, আমরা -এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, এই সচলতা নিয়ে পশ্চিমবাংলার কংগ্রেস কর্মীদের যে চাহিদা, এবং নেতৃবর্গের যে নির্দেশ, তাঁকে সঙ্গে নিয়ে, পশ্চিম বাংলার মানুষের কংগ্রেসের প্রতি যে আশা ভরসা, সেই প্রত্যাষা যাতে পূরণ করা যায়, সেই লক্ষ্যেই কিন্তু আগামী দিন, প্রদেশ কংগ্রেসের চলার পথ তৈরি হোক।’
বদলাল সমীকরণ
ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে বাংলায় একা লড়ার ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই উত্তাল হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। অধীর চৌধুরীকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বলেছিলেন, ‘বাংলার জোটের কবর খুড়েছেন অধীর চৌধুরী।’
আরও পড়ুন, নিম্নচাপের আশঙ্কা, ছাড় পাবে কি বাংলার প্লাবিত এলাকা ? সতর্কতার আওতায় কোন কোন জেলা ?
‘দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি’ অনেক আগেই বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকে এই ঘটনার কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বাংলায় তৃণমূলে এবং কংগ্রেসের মধ্যে জোটের সমীকরণ কাজ না করার জন্য় দায়ি, ‘অধীর রঞ্জন চৌধুরী।’ কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক নেই বলে মমতা দাবি করার পর থেকেই অধীরের সঙ্গে তাঁর তিক্ততার কথা উঠে আসছিল বারবার। এবার’বাংলার জোটের কবর খুড়েছেন অধীর চৌধুরী। বাংলার সরকার নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করে’, রাহুল গাঁধীর সভায় অনুমতি না মেলার প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন শান্তনু সেন। যদিও এবার সমীকরণ বদলাল।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন