কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল। দায়িত্ব বাড়ল একাধিক মন্ত্রীর। অখিল গিরি সম্প্রতি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাঁর হাতে থাকা কারা দফতরের দায়িত্ব আপাতত নিজের হাতেই রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেচ এবং জলপথ বিভাগের বাড়তি দায়িত্ব পেলেন মানস ভুঁইয়া। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হাতেও বাড়তি দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। (West Bengal Cabinet Reshuffle)
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি, রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও মমতা। পাহাড়, স্বরাষ্ট্র বিভাগও তাঁর হাতেই রয়েছে। এবার কারা বিভাগের দায়িত্বও উঠল তাঁর হাতে। এতদিন ভূমি এবং ভূমি সংস্কার দফতরও মমতার হাতেই ছিল। এবার চন্দ্রিমার হাতে পরিবেশ দফতর তুলে দলেন মমতা। এতদিন পরিবেশ দফতরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন গোলাম রব্বানি। (Mamata Banerjee)
মানস ভুঁইয়া পেলেন সেচ ও জলপথের বাড়তি দায়িত্ব। জলসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে এবার সেচ ও জলপথের বাড়তি দায়িত্ব সামলাবেন মানস। পার্থ ভৌমিক সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর দফতর গেল মানসের কাছে। গোলাম রব্বানি অচিরাচরিত শক্তি দফতরের মন্ত্রী হলেন। দফতর বদল হয়েছে তাঁর। আগে পরিবেশ দফতরে ছিলেন। তথ্য ও প্রযুক্তির সঙ্গে শিল্প পুনর্গঠন দফতরের বাড়তি দায়িত্ব পেলেন বাবুল সুপ্রিয়। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই রদবদলে অনুমোদন দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Kolkata Cafe Blast : যোধপুর পার্কে ক্যাফেতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, শাটার উড়ে গিয়ে পড়ল দূরে, দগ্ধ কর্মী
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিধায়কদের অনেককেই দিল্লিতে সাংসদ করে পাঠানো হয়েছে। বিতর্কিত আচরণের জন্য সম্প্রতি পদত্যাগ করতে হয়েছে অখিলকে। সেই মতো রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের ফাইল পাঠানো হয়েছিল রাজ্যপালের কাছে। নবান্নের তরফে ১০ জুলাই-ই ফাইলটি রাজভবনে পৌঁছে দেওয়া হয় বলে খবর। প্রায় একমাস পর তাতে সই করে, মঙ্গলবার সেটি নবান্নে ফেরত পাঠান রাজ্যপাল।
সেই অনুমোদন পেয়েই বৃহস্পতিবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রদবদলের কথা জানানো হল। এর মধ্যে বাবুলের দায়িত্ব বাড়ার বিষয়টি সকলেরই নজর কাড়ছে। বিজেপি-তে একসময় কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলেন বাবুল। পরে তৃণমূলে যোগদান করেন। গত কয়েক বছরে তিনি মমতার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এবার দায়িত্ব আরও বাড়ল বাবুলের।
আরও দেখুন