রাজা চট্টোপাধ্যায়, শুভেন্দু ভট্টাচার্য, সিতাই : ইভিএমে বিরোধী প্রার্থীর বোতামে টেপ লাগানো থেকে শুরু করে সকলের সামনে বিজেপি এজেন্টকে প্রাণে মারার হুমকি, দিনভর ‘থ্রেট কালচারের’ সাক্ষী থাকল সিতাই । একের পর এক হুমকি – হুঁশিয়ারি – বেনিয়মের ঘটনা ঘটল সিতাইয়ে। একে বারে ঘড়ি দেখিয়ে সময় বেঁধে দিয়ে বিজেপি এজেন্টকে বুথ থেকে বেরিয়ে যেতে বললেন তৃণমূল নেতা।
কোচবিহারের সিতাইয়ের তৃণমূল নেতাকে একেবারে দেখা গেল অনুব্রত মণ্ডলের কায়দায় হুমকি দিতে। সিতাইয়ের গোসানিমারি বসেরটারি জুনিয়র হাইস্কুলের ১০৪ নম্বর বুথের ঘটনা ঘড়ি দেখয়ে ৩০ মিনিট সময় বেঁধে দিলেন বিজেপি এজেন্টকে। সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনী, তাতেও কুছ পরোয়া নেহি ! বুথ থেকে না বেরোলে মারধরের হুমকি তো বটেই, কার্যত প্রাণের ভয়ও দেখালেন তৃণমূলের ওই স্থানীয় হেভিওয়েট। তৃৃণমূল সাংসদের সামনেই হুমকি দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
ক্যামেরা, বাহিনী, একরাশ লোক, কমিশনের নিম কানুন, সবকিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে তৃণমূল নেতা দিলেন ‘ওয়ার্নিং’। বললেন, ‘আধঘণ্টা সময় দিলাম, বুথ থেকে বেরিয়ে যাও’।
অন্যদিকে এই সিতাইয়েরই হোকদহ আদাবাড়ি শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের ৬/২ নম্বর বুথের ইভিএমে বিরোধী প্রার্থীদের চিহ্নের ওপর টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয় । ১ ও ২নম্বর বোতামে এমনভাবে টেপ লাগিয়ে দেওয়া হয়, যে বিরোধী প্রার্থীর নাম ও প্রতীক চিহ্ন কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। সেখানে ২ নম্বরে ছিল সিতাইয়ের বিজেপি প্রার্থী দীপককুমার রায়ের নাম। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি প্রার্থী। বুথ পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে বিজেপি প্রার্থীর। অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট অনুযায়ী ইভিএমে কোনও টেপ লাগানো ছিল না।
শুধু সিতাইয়ে নয়, মাদারিহাট বিধানসভার ৫টি বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থী। এর মধ্যে বেশিরভাগ বুথই চা বাগান এলাকার বলে দাবি মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের। নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, ভোটপ্রচারে গিয়ে মানিব্যাগ খোয়ালেন মিঠুন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও দেখুন