কলকাতা : CESC-তে বিদ্যুতের দাম নিয়ে অসন্তোষ আছে অনেকের মধ্যে। যা অজানা নয় মুখ্যমন্ত্রীর। এদিন রাজ্য বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে তাই বিদ্যুতের দামের প্রসঙ্গ উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। দেউচা পাচামির কথা বলতে গিয়ে বিদ্যুতের দাম এবং CESC প্রসঙ্গ তুলে আনলেন তিনি। এর পাশাপাশি তাঁর মতে, আগামী দিন বিদ্যুতের দাম আরও সস্তা হয়ে যাবে। সেটা কীভাবে সম্ভব তারও রূপরেখা জানালেন।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “দেউচা-পাচামি থেকে আমরা যে কয়লা পাব, তাতে ১০০ বছর যে বিদ্যুৎ তৈরি করব, সেই পাওয়ারে আমাদের বিদ্যুতের দাম আগামীদিনে…যখন কয়লাটা উৎপাদিত হয়ে যাবে …অনেক কমে যাবে। রাজ্য সরকার বিদ্যুতের দাম না বাড়ালেও, CESC বাড়ায়। মানুষকে অনেকটাই ভুগতে হয়। ওটা আমাদের হাতে নেই। ওটা স্বশাসিত সংস্থা। সিপিএম থাকাকালীন দিয়ে গেছে। ওদের দিল্লির একটা কী বোর্ড আছে, সেই বোর্ডের মাধ্যমে। তা সত্ত্বেও বলছি, আগামী দিনে বিদ্যুতের দাম অনেক সস্তা হয়ে যাবে। এই দেউচা-পাচামিটা হতে পারলে।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেউচা পাচামি…যেসব জমি ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে, তাদের অনেক ছেলে-মেয়েকে আমরা কর্মসংস্থান করে দিয়েছি। অনেক ছেলে-মেয়ে হোমগার্ডে চাকরি পেয়েছে। যাঁরা ইচ্ছায় দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ ..। বাড়ি, গাড়ি, স্কুল, কলেজ ও হাসপাতাল সবই এলাকায় তৈরি হবে। তাছাড়াও আমরা একটা ক্ষতিপূরণ বাড়ি-ঘর বই দিচ্ছি। এখন যেটা কাজ শুরু হয়েছে আমাদের জমিতে হচ্ছে। প্লাস আরও কিছু জমি যাঁরা দিতে চাইবেন, আমরা নেব। যাঁরা বাকি আছেন, এখনকার লোকেরা যেমন কর্মসংস্থান পেয়েছেন, যেমন টাকা-বাড়ি পেয়েছেন, নতুনও যাঁরা দেবেন তাঁরাও কিন্তু সেটা পাবেন। এটা সারা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা শিল্প। আমরা আগামী প্রজন্মের জন্য, ১০০ বছর যাতে তাঁদের লোডশেডিং ফেস করতে না হয় এবং বিদ্যুতের দাম যাতে বেড়ে না যায়…সস্তায় বিদ্যুৎ পান, তাই এই প্রকল্প তৈরি করছি। সেখানে অনুসারী শিল্প মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ছেলে-মেয়ের ওখানে কাজ হবে। শুধু দেউচা-পাচামিতে।”
বিস্তারিত আসছে…
আরও দেখুন