কলকাতা: পুলিশ আধিকারিককে ফোন করে যে ভাষায় কথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল, সেই নিয়ে এখনও তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রতর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি করেছে জাতীয় মহিলা কমিশনও। আর সেই আবহেই এবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার প্রসঙ্গে কুরুচিকর শব্দের প্রয়োগ করতে শোনা গেল, রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে। তাঁর সেই মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূলও। (Sukanta Majumdar)
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সম্প্রতি পুলিশকে আক্রমণ করেন সুকান্ত। ভবানীপুরে গাড়িতে বসে পুলিশের উদ্দেশে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আপনারা আইনটাকে না সোনাগাছির সে** ওয়ার্কারে পরিণত করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের আইনটাকে।” সুকান্তর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। তাদের কথায়, ‘এটা একজন জনপ্রতিনিধির ভাষা? বঙ্গ বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ভাষা ব্যবহার করেছেন, তা অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং নিম্নরুচির। পুলিশকে অপমান করতে গিয়ে উনি যৌনকর্মীদের কাজকে শুধু বিদ্রুপই করলেন না, বিজেপি-র মানসিকতাকেও তুলে ধরলেন। এটা শুধু নারীবিদ্বেষ নয়, রাজীনতির নামে নোংরামি। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ক্ষমা চান সুকান্ত মজুমদার’। (West Bengal BJP)
এটা একজন জনপ্রতিনিধির ভাষা? বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে ভাষা ব্যবহার করছেন, তা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিম্নরুচির। পুলিশকে অপমান করতে গিয়ে তিনি যৌনকর্মীদের কাজকে শুধু বিদ্রুপই করলেন না, সেই সঙ্গে বিজেপির বিকৃত মানসিকতাকেও তুলে ধরলেন। এটা শুধু নারীবিদ্বেষ নয়, এটা রাজনীতির নামে নোংরামি। আমরা এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ক্ষমা চান সুকান্ত মজুমদার!
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “সুকান্ত মজুমদার গত কয়েকদিন ধেরই কুৎসিত কথা বলে চলেছেন। এবার এটা কী করলেন? সোনাগাছির সে** ওয়ার্কার বলে চিৎকার করে অপমান করছেন। তাঁদের নিম্নমানের দৃষ্টিতে দেখে রাজনৈতিক তুলনা টেনে, বিকৃত বিবৃতি দিলেন। এই মা-বোনেদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ওঁকে। সোনাগাছির সে** ওয়ার্কার, মানে বোঝেন? কতটা যন্ত্রণা, কতটা কষ্ট, কতটা অশ্রু, কতটা লড়াই থাকে, বোঝেন সুকান্ত মজুমদার? আপনি মধ্যযুগে বাস করেন? এটা বিজেপি-র দৃষ্টিভঙ্গি। এরা মা-বোনেদের কুৎসিত ভাবে…একজন বলেছিল বীরবাহা হাঁসদা জুতার তলায় থাকে। সোনাগাছির মা-বোনেরা একটা পেশায় আছেন। আপনাকে কে অধিকার দিল ওই মা-বোনেদের অপমান করার?”
সম্প্রতি আইসি-কে ফোনে যে কুকথা বলেন অনুব্রত, সেই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। একযোগে বিরোধীরা তৃণমূলকে যেমন আক্রমণ করতে নেমে পড়েন, তেমনই জাতীয় মহিলা কমিশনও রিপোর্ট চেয়ে পাঠায়। সুকান্ত-উবাচে সেই পর্বের উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, ‘হে বিজেপি, পোড়া মুখ কত হবে কালো? অনুব্রতে অপরাধ, সুকান্তে ভালো? ‘ বিজেপি-র তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।