মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: খনির নিচে কনভেয়ার বেল্টে জড়িয়ে মৃত্যু হল শ্রমিকের। মৃত শ্রমিকের নাম কানাইলাল ঘোষ, বয়স আনুমানিক ৪৮ বছর। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই তিনি তার মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক করেছিলেন। হঠাৎ করে এরকম ঘটনা ঘটায় শোকে ভেঙে পড়েছে পরিবার।মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে ইসিএলের ঝাঁঝরা এমআইসি কোলিয়ারিতে। ক্ষতিপূরণ, চাকরির দাবিতে দেহ রেখে বিক্ষোভ সহকর্মীদের।
মঙ্গলবার আনুমানিক দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ ইসিএলের ঝাঁঝরা এমআইসি কোলিয়ারিতে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কানাইলাল ঘোষ (৪৮) নামে এক শ্রমিকের। অন্যান্য দিনের মতো এদিন কানাই ঘোষ খনির নিচে সহকর্মীদের সাথে কাজ করছিলেন। আচমকা কনভয়ের বেল্ট এর মধ্যে পড়ে যান তিনি। বেল্টে জড়িয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তার। দুর্ঘটনায় তার হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শরীর থেকে।
জানা যায় কানাই বাবু এমআইসি কোলিয়ারিতে কাজ করলেও থাকতেন শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে। খনির নিচে থেকে দেহটি উপরে ওঠানোর পর কোলিয়ারি চত্বরে শুরু হয় বিক্ষোভ। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা বলে দাবি করেন ঝাঁজরা ইউনিটের CMSI কর্পোরেট ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্য রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় । তিনি বলেন সুরক্ষার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয় না কর্তৃপক্ষ। ফলে এই কোলিয়ারিতে দুর্ঘটনায় কম করে দু’তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয় প্রতিবছর। দুর্ঘটনার তদন্ত, দোষী আধিকারিকদের চিহ্নিত করে শাস্তির পাশাপাশি মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজনকে চাকরিতে নিয়োগের দাবি জানানো হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন, কুম্ভমেলায় সন্তানের মৃত্যু, নিথর দেহ দেখে অজ্ঞান মা, সহায় হল ব্যাগে রাখা হ্যাম রেডিও-র ভিজিটিং কার্ড !
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের নেতা বিন্দু দেব জানান, ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে উৎপাদনের একটা চাপ থাকে, আর সেই চাপ থেকেই অন্যমনস্ক হয়ে শ্রমিকদের দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা সম্পূর্ণ তদন্তের দাবি করছেন তিনি বলে জানান। পাশাপাশি তিনি এও বলেন এই ঘটনায় যদি ইসিএল কর্তৃপক্ষের কোন গাফিলতি থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বড়সড়ো আন্দোলনে নামবেন তারা।যদিও এই ঘটনায় ঘটনা স্থলে আশা কোলিয়ারির পার্সোনাল ম্যানেজার পি মাধুরী, ক্যামেরা দেখেই পালিয়ে যান,ক্যামেরার সামনে তিনি মুখ খুলতে চাননি।
আরও দেখুন
+ There are no comments
Add yours